তাতে লাভ হলো, এড়ানো যাবে করোনার ছোবল। পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়াতে জ্বালানি না পুড়িয়ে পোড়ানো যাবে ক্যালোরিও।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনাটি একেবারে নতুন নয়। অনেক আগেই বিভিন্ন দেশের আদলে কলকাতায় ‘বাই লেন সাইকেল’বা ‘সাইকেল বে’ তৈরি করতে উদ্যোগী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতেরও বেশ কয়েকটি শহরে সাইকেল চলাচলে পৃথক লেন রয়েছে। করোনাকালে সেই লেনের ব্যাপ্তিও বাড়ছে। বেঙ্গালুরু শহরে রাজপথে সংযোজিত হচ্ছে আরও ১২০ কিলোমিটার সাইকেল বে। এবার সেই পথে এগোচ্ছে কলকাতাও।
সাইক্লিং জোন ও রোড ম্যাপ তৈরি করতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। দায়িত্ব পেয়েছে দিল্লির একটি সংস্থা। ওই সংস্থাকে সমীক্ষায় সহযোগিতা করবে কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, খড়গপুর আইআইটি ও রাজ্য পরিবহন দপ্তর।
সমীক্ষার মূল কাজ থাকবে প্রতিদিন গড়ে মোট কত সংখ্যক মানুষ, কোনো কোনো এলাকা ধরে সাইকেলে চেপে শহরে ঢুকছেন। এছাড়া আর কাজতো থাকছেই। যেমন শহরের কোনো কোনো রাস্তায় সাইকেল চালানো সম্ভব। কোনো রাস্তাগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। তার বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে তৈরি হবে রোড ম্যাপ। আপাতত প্রকল্পের খরচ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে ৩৪ লাখ রুপি।
কলকাতা করপোরেশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহরের বেশিরভাগ রাজপথ খুব একটা চওড়া নয়। সবদিক ভেবেচিন্তে ম্যাপ তৈরির কাজ হবে। কমাতে হবে কিছু ফুটপাত এবং কিছু পার্কিং এলাকা। সেই জোনগুলো ব্যবহার করে সাইকেল লেন বানানো হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে সমীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
করপোরেশনের তথ্য বলছে, ২০০৮ সালে শহর কলকাতার ৩৮টি রাস্তায় সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ঢোকে আরও ২৪টি রাস্তা। আবার কিছু রাস্তায় সাইকেল চললেও তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পথ নেই। অনিয়ন্ত্রিতভাবেই যাতায়াত করতেন সাইকেল আরোহীরা। তবে পরিকল্পিত শহর হিসেবে সল্টলেক সংলগ্ন নিউটাউনে সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট ট্র্যাক রয়েছে। রাজ্যের একমাত্র এ শহরেই ২৯ কিলোমিটার পথ সাইকেলের জন্য আছে। কারণ নিউটাইন পরিকল্পনামাফিক গড়ে উঠছে। তাই সম্ভব হয়েছে।
কলকাতার মতো অপরিকল্পতি শহরের পক্ষে সম্ভব? এ কর্মকর্তার মতে, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জার্মানি পেরেছে। ভারতেরও কয়েকটি মেগা সিটি পেরেছে, তাহলে কলকাতা কেন পারবে না? আগামী বছরের মাঝামাঝি বাইসাইকেল চলবে শহরের ট্র্যাক বরাবর, বলে আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/