আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদীর ওপর নির্মানাধীণ মৈত্রী সেতুর কাজ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সেতুর কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সাব্রুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন তিনি।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে পণ্য সামগ্রী সরাসরি সড়ক পথে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে আরও গতি আনার জন্য ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এরই প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সাব্রুম এলাকায় ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্মাণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও নির্মাণ নকশা সঙ্গে কাজ বাস্তবে ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তাও মিলিয়ে দেখেন।
সেতুর সিংহভাগ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। অপরদিকে সাব্রুম পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গেছে তাই মৈত্রী সেতু চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি ট্রাকে করে কন্টেইনার সাব্রুমে চলে আসবে। এরপর সাব্রুম স্টেশন থেকে পণ্যবাহী ট্রেনে করে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য প্রান্তে পণ্যগুলি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে এই মৈত্রী সেতু।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাংলানিউজকে জানান, মৈত্রী সেতু চালু হলে খুব দ্রুত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য সড়কপথে ত্রিপুরাসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া যাবে। ত্রিপুরার দক্ষিণের শহর সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর সড়কপথে মাত্র ৭০ কিলোমিটার। পাশাপাশি এই সেতুটি ব্যবহার করার ফলে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, ফলে উভয় দেশ অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে।
এদিন মৈত্রী সেতু পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বিধায়কসহ ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
এসসিএন/ইএআর/কেএআর