ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

প্রথমবারের মতো গোমতী হয়ে বাংলাদেশের নৌযান ত্রিপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
প্রথমবারের মতো গোমতী হয়ে বাংলাদেশের নৌযান ত্রিপুরায় নৌযানটিকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবসহ সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): বাংলাদেশ থেকে গোমতী নদী হয়ে প্রথমবারের মতো পণ্যবোঝাই নৌযান ত্রিপুরা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে সরাসরি নৌপরিবহনের যাত্রা শুরু হয়েছে।

শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা নাগাদ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারেই সিমেন্ট বোঝাই নৌযানটি গোমতী নদীর উজান বেয়ে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুরে অস্থায়ী ভাসমান জেটিতে এসে নোঙর করে।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দাউদকান্দি থেকে নৌযানটি ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দেয় এবং ৯০ কিলোমিটার নদীপথ অতিক্রম করে শনিবার বিকেলে ত্রিপুরায় এসে পৌঁছায়।

নৌযানটিকে স্বাগত জানাতে জেটিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, ত্রিপুরার পশ্চিম লোকসভা আসনের এমপি প্রতিমা ভৌমিক, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশসহ রাজ্যের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধী এবং একাধিক দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপ্রটোকল রুট চালু হওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষও উপস্থিত ছিল গোমতী নদীর তীরে।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঐতিহাসিক মুহূর্তের বিষয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রথমে ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন জানান। এমন একটি কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ নৌপথে নিয়মিত পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হলে শুধু ত্রিপুরা রাজ্য নয় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যও উপকৃত হবে। পণ্যপরিবহন খরচও অনেক কম পড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশ শুল্কও পাবে। সবমিলে উভয় দেশের সুবিধা হবে এ নৌপথে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
এসসিএন/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।