ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় টবেই ফলছে ড্রাগন ফল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
কলকাতায় টবেই ফলছে ড্রাগন ফল

কলকাতা: টবেই হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ। আর তাতে ১৮ মাসের মধ্যেই মিলবে ফল।

ক্যাকটাস সমগোত্রীয় এ গাছে চাষে ঝক্কি নেই বললেই চলে। খরচও কম। অপরদিকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে এ ফলের চাষ। সবরকম পরিবেশ মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে এ গাছের বলে, মনে করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া।

অনেকেই এখন বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে টবে এ ফলের গাছ লাগাচ্ছেন। তবে এমন জায়গায় টব রাখতে হবে যেখানে আলো-বাতাস আসে। পরিচর্যারও তেমন প্রয়োজন হয় না। পানিও খুব একটা দেওয়া লাগে না। জৈব সার হলেই চাষ করা যায়। রোগ বা পোকার আক্রমণও তুলনামূলক কম। ফলে শখের বশে কলকাতায় টবে ফলাচ্ছেন ড্রাগন ফ্রুট। ক্যাকটাস প্রজাতির গাছের এ ফলটি 'ড্রাগন ফ্রুট' নামেও পরিচিত।

এ কাজে রাজ্য সরকারের উদ্যান পালন বিশেষজ্ঞরাও আগ্রহ তৈরি করছে গাছ প্রেমীদের মধ্যে। কর্তাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে বৃহৎ জমিতে এখন সফলভাবে এ ফলের চাষ হচ্ছে। এর পাশাপাশি বাড়ির এবং বাগানের সৌন্দর্য় বাড়ানোর জন্য শখের বশে অনেকেই ফলাচ্ছে ড্রাগন ফল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ড্রাগন ফল ফলানোর জন্য একটু বড় আকারের হাল্কা টব লাগে। জৈবসার দিয়ে তৈরি করতে হবে টবের মাটি। এজন্য একভাগ মাটি, একভাগ জৈবসার, একভাগ ককপিট অর্থাৎ নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়ো ও বাকি একভাগ বালি দিয়ে টবের মাটি তৈরি করে নিলে ভালো।
এতে মাটিতে পানির সঞ্চালন ভালো হয়। তবে গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। তাহলে গাছ পচে যাবে। ড্রাগন ফলগাছ বেড়ে উঠতে অবলম্বন দরকার। তাই টবের মধ্যে একটি শক্ত পাইপ বসিয়ে দিতে পারলে ভালো। গাছের বাড়লে দড়ি দিয়ে ওই পাইপের সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে।

সারা বছর ধরেই ড্রাগন ফ্রুট চাষ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারা বসানোর উপযুক্ত সময়। প্রথমবার একটি গাছ থেকে গড়ে ১৮ থেকে ২০টি করে ফল পাওয়া যায়। পরে সংখ্যায় বেশি ফল মেলে।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলটির মধ্যে একধিক রকমের ভিটামিন আছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনের মতো খনিজ পদার্থ। আছে ফাইবার ও প্রোটিন। ফ্যাট নেই। রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

ফলটির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক। রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। হার্ট সুস্থ রাখে। হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। ডায়েটারি ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। লিভারের জন্যও উপকারি। ড্রাগন ফলে ভালোমাত্রায় আয়রন রয়েছে। এর কারণে রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।