ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতার দলের আরও এক মন্ত্রীর পদত্যাগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
মমতার দলের আরও এক মন্ত্রীর পদত্যাগ

কলকাতা: ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই মন্ত্রিত্ব, দল এবং বিধায়ক পদ ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন একসময় মমতার অতি আপনজন শুভেন্দু অধিকারী। এবার মমতা মন্ত্রিসভা থেকে আরও এক মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।

এবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রিত্বের পদ ছাড়লেন ভারতীয় টিমের সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা।

শুধু মন্ত্রিত্বই নয়, দলের সাংগঠনিক পদ থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। তবে মানুষের নির্বাচিত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি।

তবে তৃণমূল ছাড়ার কারণ এখনই বিজেপিতে যোগদান বা দল পরিবর্তন নয়। বরং তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে অবসরের কারণ, ফের খেলার জগতে মনোনিবেশ করতে চান। তাই মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বিধায়ক পদের দায়িত্ব সামলাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীরতনের ইস্তফাপত্রে সম্মতিও দিয়েছেন এবং গ্রহণের জন্য রাজ্যপালের কাছে তার পাঠানো হয়েছে বলে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

লক্ষ্মীরতনের ইস্তফা প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লা খুব ভালো ছেলে। ও মনে করেছে তাই পদত্যাগ করেছে। ও সব ধরনের রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চাইছে। ফের খেলার জগতে ফিরে যেতেই ওর এ সিদ্ধান্ত। আমরা চাই ও খুব ভালো করে খেলুক। এরমধ্যে নেগেটিভ ভাবার কিছু নেই।

অন্যদিকে, ১২ জানুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শেষবার ডিসেম্বরে অমিত শাহর উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্মীরতনের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল।

তবে লক্ষ্মীরতনের ঘনিষ্ঠ মহলের তথ্য অনুযায়ী, আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান তিনি। কিছুদিন বিশ্রাম নেবেন৷ তারপরই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাবেন।

২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়া উত্তর থেকে জয় লাভ করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। মমতা মন্ত্রিসভায় ত্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হন তিনি।

এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সৌগত রায় জানান, লক্ষ্মীরতন ভালো ক্রীড়াবিদ। হঠাৎ কেন মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তা জানা নেই। কি অসুবিধা হচ্ছিল তাও জানায়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রী সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর পর বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফা নিঃসন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, যে দলের (তৃণমূল) নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য বা আদর্শ নেই, সেই দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিঁকে থাকতে পারে না। লক্ষ্মীরতনে ইস্তফা তা দেখিয়ে দিলো।

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মমতার ওপর কেউ আর আস্থা রাখতে পারছেন না। একেএকে সবাই চলে যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে কতজন মন্ত্রী মমতার প্রতি আস্থা রাখেন সেটাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।