ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ইউক্রেন থেকে ফিরে যা বললেন ত্রিপুরার তিন শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
ইউক্রেন থেকে ফিরে যা বললেন ত্রিপুরার তিন শিক্ষার্থী

আগরতলা (ত্রিপুরা): পাঁচ দিনেরও বেশি সময় কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা ত্রিপুরার তিন শিক্ষার্থী। আর রাজধানী আগরতলায় পৌঁছেই সে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরলেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।

বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বিমানে আগরতলা পৌঁছান ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের তিন শিক্ষার্থী। বলা চলে, কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেই ফিরলেন তারা। এদের মধ্যে জেসমিন দেববর্মার বাড়ি আগরতলার অভয়নগর এলাকায়, মেঘা ত্রিবেদীর বাড়ি বিলোনিয়া রামঠাকুর পাড়া এলাকায় এবং উপাসনা বিশ্বাস বিলোনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

এদিন আগরতলা ফিরেই সন্ধ্যায় মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন জেসমিন ও মেঘা। কঠিন পরিস্থিতিতে সাহস রেখে বাড়ি ফেরায় মুখ্যমন্ত্রী তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের কথা জানাতে গিয়ে জেসমিন ও মেঘা বলেন, যুদ্ধ শুরু হবে শোনার পর তারা সবাই নিজেদের সাধ্যমত রেশনসামগ্রী সংগ্রহ করেন। ইউক্রেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাংকারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। আগে থেকেই নির্দেশ দেওয়া ছিল সাইরেন বাজলেই যেন সবাই বাংকারে প্রবেশ করে। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদের উদ্যোগে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলা এসে পৌঁছান এই তিন শিক্ষার্থী।

জেসমিন ও মেঘা বলেন, ইউক্রেনে প্রচণ্ড খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলেন। খাবার ও পানির সংকট ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। মাত্র একটি গেট দিয়ে নারী, শিশু, অন্যান্য নাগরিক ও যানবাহনকে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল। এর ফলে মারাত্মক ভিড় সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। তাদের একজন রোমানিয়া সীমান্ত এবং অন্যজন যুগোস্লাভিয়ার সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন। তবে ইউক্রেন সীমান্ত পার হওয়ার পর তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। বিভিন্ন এনজিও তাদের সহায়তা করেছে।

জেসমিন ও মেঘা জানান, তাদের কেউ কেউ ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হয়েছেন। তবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে রাজধানী কিয়েভে থাকা শিক্ষার্থীরা। সেই শহরের যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় অচলের পথে। ফলে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে কঠিন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে উদ্ধার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার যারা এখনো ইউক্রেনে আটকে আছে তাদের উদ্ধারে ভারত সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসে সব তথ্য দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
এসসিএন/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।