ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’, অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যায়ে

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’, অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যায়ে

কলকাতা: বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’-এর অনুমোদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন এলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর চেয়ার সংক্রান্ত কাজ শুরু হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টম্বর) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত দুই দেশের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানা গেছে।

এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বাংলাদেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সোসাইটির প্রতিনিধিদল। এর মধ্যে ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, বিইউপি, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি ইউনিভার্সিটি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, বরিশাল এবং জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির ২৩ জনের প্রতিনিধিদল।

উপাচার্যসহ উপস্থিত ছিলেন, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম, পূর্ব ভারতীয় আইসিসিআর-এর পরিচালক মিনাক্ষী মিশ্রা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ড. সঞ্জয় গোপাল সরকারসহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকল্টি অব আর্টস, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স এবং আইএসএলএম-এর ডিনরা।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষা প্রসারে কলকাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনবদ্য। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেরকম উদ্যোগ নিয়ে এখানে এসেছে, এটি অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। তারা যে স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে, তা থেকে আমাদেরও অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যকার গভীরতাকে আরও শক্তিশালী করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।



এ সময় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘স্টুডেন্টস একচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে কোনো একটি সেমিস্টার বা কোর্স সম্পন্ন করে দেশে ফিরে গিয়ে পরবর্তী সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করতে পারে-এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করলে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন দাস নীতিগতভাবে সম্মতি দেন। দুজনের সম্মতিতে, পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক প্রণয়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হবে।

আইসিসিআর-এর পরিচালক মিনাক্ষী মিশ্রা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশ থেকে কত পরিমাণ শিক্ষার্থী ভারতে স্কলারশিপ নিয়ে যান তার তথ্য তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যদি যাদবপুর এবং ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এই ধরনের আরও উদ্যোগে সমন্বয় করতে চায়, তবে আইসিসিআর-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির এডুকেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিএম রাকিবুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার চৈতি, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেসের প্রভাষক মো. আতিকুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মতিয়ার রহমানসহ ২৩ জন প্রতিনিধি।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির নেতৃত্বে দেশের আরও ৭টি ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির ২৩ জন সদস্য গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনসহ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, কলকাতা ইউনিভার্সিটি, হীরালাল মজুমদার কলেজ ফর উইমেন্সে সেমিনার ও স্টুডেন্ট একচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল তাদের অনুষ্ঠান। একই দিনে সেমিনার করেন কলকাতার নেতাজিনগর কলেজ এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তারা অংশ নেবেন পাটুলি লাইব্রেরির উদ্যোগে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ১৫, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।