ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

পি কে হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে মার্চে! 

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
পি কে হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে মার্চে!  পি কে হালদার। ফাইল ছবি

কলকাতা: জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারদের মামলায় নতুন চমক আসছে। তাদের আগামী বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।

 

ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডি সূত্রে জানা গেছে, এই মামলা আর দীর্ঘায়িত করতে চায় না তারা। সে কারণে নতুন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র (সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট) দেয়নি ইডির আইনজীবী। তারা চাইছে না, ভারতীয় আইন অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি করতে।

এর কারণ পি কে হালদারদের ভারতীয় আইন অনুযায়ী যে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণিত হয়ে গেলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ভারতে।  

ইডির বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুটি ভারতে দীর্ঘায়িত না করে আগামী বছরের মার্চে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তকে। জানা যাচ্ছে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হতে পারে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী। তাই যদি হয়, ভারতীয় আইনে সাজাপ্রাপ্ত পি কে হালদারের বাকি সাজার মেয়াদ বাংলাদেশে ভোগ করতে হবে।

অপর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে, পি কে হালদারকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের কথা হয়ে থাকতে পারে। সে কারণেই পি কে হালদারদের বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে ভারতের ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়েছিল বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা বাংলাদেশি নাগরিক পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তকে। আবার তাদের ১৭ নভেম্বর আদালতে তোলা হবে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের  সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩ বিচারক জীবন কুমার সাধু।

এদিন ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী বলেন, আজ সাড়ে চাড় হাজার পাতার ‘রিলায়েড আপন কপি’ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ভেরিফিকেশনের জন্য সেই কপি দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের আইনজীবিদেরও। ততদিন তারা জেল হেফাজতে থাকবেন। তবে ইডি নতুন কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বা নতুন কোনো তথ্য নেই বলে জানান ইডির আইনজীবী।

অভিযুক্তদের বিপক্ষে যে তথ্য ইডি সংগ্রহ করেছে তার থেকে যে অভিযোগগুলো যোগ্য বলে মনে করা হয়েছে, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তা-ই ‘রিলায়েড আপন কপি’।  

গত ১৫ জুলাই পি কে হালদারদের জেরা করে ইডি যে তথ্য পেয়েছে তা একত্রিত ৬ হাজার পাতার নথি তৈরী করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই হালদারদের বিরুদ্ধে ইডির পক্ষ থেকে ১০০ পাতার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়।  

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদার এবং তার ছয় সহযোগিকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপরে ইডি ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রিমান্ডে নেওয়ার পর, গত ২৭ মে আদালতের রায় অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় তদন্তের কারণে ১১ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডি (জেসি) হয় পি কে হালদারদের।

ঠিক একইভাবে ৭ জুন আদালতে তোলা হলে তাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেসি হয়। ২১ জুন আদালতের রায় অনুযায়ী, আরও ১৪ দিনের জেসি হয়। এরপর ৫ জুলাই আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেসি দেন আদালত। ১৫ জুলাইয়ের রায় অনুযায়ী, ফের ১০ আগস্ট শুনানি হয় হালদারদের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ২২, ২০২২
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।