ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

ঈদকে কেন্দ্র করে এলাচে আগুন

আখতারুজ্জামান সোহাগ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
ঈদকে কেন্দ্র করে এলাচে আগুন ছবি: রানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে মসলার বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এলাচে। কেজি প্রতি বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী খুলনা বানিয়াতি স্টোর’র কর্ণধার মো. সবুজ মিয়া বাংলানিউজকে জানালেন, এলাচের দামটাই মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। ঈদের আগে আরও কয়েক দফা এলাচের দাম বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

তবে অন্যকিছুর দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। যা বাড়ার ইতোমধ্যে তা বেড়ে গেছে। কেন দাম বেড়েছে, এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারলেন না সবুজ মিয়া।

ঈদ উপলক্ষে দাম বাড়তি মসলার মধ্যে আমেরিকান গুয়েতমালা এলাচ (ছোট) প্রতি কেজির বর্তমান দাম ১০৪০ টাকা, পূর্বের মূল্য ছিলো (সপ্তাহ খানেক আগে) ৮৮০ টাকা। বড় এলাচ কেজি প্রতি ২৬০ টাকা বেড়ে দাম ১৪৮০ টাকা, পূর্বের মূল্য ছিলো ১২২০ টাকা। এছাড়া ভারতীয় এলাচের দামও বেড়ে গেছে বহুগুণ। সপ্তাহ খানেক আগে কেজি প্রতি ভারতীয় এলাচের দাম ছিলো ৯৮০ থেকে ১০০০ টাকা, যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০০ টাকা।

পাল্লা দিয়ে থেমে নেই জিরার দামও। বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা করে। ভারতীয় জিরা কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪০ টাকা। সিরিয়ান জিরার দাম ছিলো ৩২৫ টাকা, বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা। টার্কিশ জিরার দাম ১০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা। এছাড়া আফগান জিরা এবং ইরানি জিরার সরবরাহ নেই বাজারে।

মসলা- পেস্তা ১৬৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫০ টাকা, লবঙ্গ ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, বাদাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, কালো গোল মরিচ ৮৮০ টাকা থেকে ৯২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে বেশ কিছু মসলার দাম। সরিষা প্রতি কেজি ৬০ টাকা প্রতিকেজি, পাঁচ ফোঁড়ন ১২০ টাকা, জায়ফল ৬৮০ টাকা, দারুচিনি ২৬০ টাকা ও জেজপাতা ১৬০ টাকা।

কমেছে হাতেগোনা দু'-একটি মশলার দাম। ধনিয়া ২৮০ টাকা থেকে কমতে কমতে ৯৫ টাকা, কিসমিস ৩২০ থেকে ২৫০ টাকা, কালোজিরা ২৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দোতলায় মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী এরাইট স্টোরের মো. মাজেদ মিয়া।

তিনি জানালেন, আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। যা বাড়ার মোটামুটিভাবে বেড়েছে।

কেন বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, যেহেতু মসলা আমদানিনির্ভর পণ্য সেহেতু দাম বাড়ার সঙ্গে আমাদের এখানে কোনো কারসাজি নেই।

মো. রহমত আলী ঈদের মসলার বাজার করতে এসেছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানালেন, আমরা স্বল্প ইনকামের মানুষ, ঈদ উপলক্ষে মসলাটা একটু বেশি লাগে। ঠিক এই সময়টায় এরা চক্র করে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা আসলে নিরুপায়। কী করবো,  বেশি দামেই কিনছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।