ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার করার দাবি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সবাবেশ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের (এনজিডব্লিউএফ) নেতারা।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনজিডব্লিউএফ আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মালিকদের এবং সরকারের বিবেচনা করা উচিৎ যে, শ্রমিকদের জীবনমান, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং সন্তুষ্টির সঙ্গে উৎপাদন এবং পণ্যের মান সম্পর্কিত।

অভুক্ত, অর্ধাহার বা অতৃপ্ত শ্রমিকদের দিয়ে অধিক উৎপাদন এবং গুণগত মান আশা করা যায় না। ইতোমধ্যে জাহাজ ভাঙা শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা, সরকারি কর্মচারীদের বর্তমান সর্বনিম্ন বেতন ১৭ হাজারেরও বেশি। কিন্তু দেশের প্রধান রপ্তানিকারক শিল্প গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি কেন এতো কম থাকবে? তাদের মজুরি ১৬ হাজার টাকার কম কোনভাবেই নির্ধারণ করা যাবে না।

সংগঠনটি সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, মো. শহিদুল ইসলাম, এম দেলোয়ার হোসেন, আরিফা আক্তার, ফারুক খান, সাফিয়া পারভীন, মো. রফিক, নাজমা আক্তার, কোহিনূর আক্তার প্রমুখ।  

সমাবেশের আগে পল্টন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট ও তোপাখানা রোড এলাকায় বাংলাদেশের পতাকা ও লাল পতাকা সজ্জিত একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও গণমোর্চার সমাবেশ।  ছবি: বাংলানিউজ
এদিকে একই দাবিসহ কৃষিপণ্যের লাভজনক মূল্যের দাবিতে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও গণমোর্চা।  

মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- গণমোর্চার সমন্বয়কারী মো. মাসুম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মহাসচিব মিজানুর রহমান মিজু, আলী হোসেন, শামসুল হুদা মামুন, কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ, দুলাল সাহা, সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, সিরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বুলু, মশিউর রহমান বাবুল প্রমুখ।

এ সময় তারা গার্মেন্টস কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।  

দাবিগুলো হলো- কৃষকদের কৃষিপণ্য বিক্রির খাতিরে কৃষক ও কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে বাজার কাঠামো গড়ে তোলা, সারাদেশে আলুর ন্যায় অন্যান্য পচনশীল সবজির হিমাগার গড়ে তোলা, রপ্তানির জন্য বিশেষায়িত টেস্টিং ল্যাব গড়ে তোলা, আগামী জাতীয় বাজেটে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বাড়ানো, কৃষিপ্রধান এলাকায় কৃষিপণ্য ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা এবং ভারতের স্বামীনাথন কমিশনের মতো বাংলাদেশেও একটি কৃষি কমিশন গঠন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমএএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।