বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সংগঠনের সভাপতি আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন প্রধান অতিথি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এসময় মেয়র বলেন, বিড়ি শিল্প বন্ধ হলে দেশের ৩০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবেন। রংপুরের শ্রমিক ভাই-বোনরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সরকার মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়, তাদের মেরে ফেলতে নয়। তাই এদেশে সিগারেট থাকলে বিড়ি শিল্পও থাকবে।
সমাবেশে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমকে বাঙালি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেরিক হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি শামছুল আলম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা শামিম হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১. দেশে সিগারেট যতোদিন থাকবে, বিড়ি শিল্পও ততোদিন থাকবে। ২. প্রতি হাজার বিড়ি তৈরির মজুরি ১০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৩. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের আগে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বিড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান বন্ধ করা যাবে না ও ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক এবং ১০ লাখ তামাক চাষিকে বেকার করা চলবে না। ৪. ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে ‘কুটির শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ৫. ভারতের ন্যায় প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৬. যেসব বিড়ি কারখানা ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন করে তাদের করমুক্ত রাখতে হবে।
বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধি এবং সিগারেটের দাম কমে যাওয়ার কারণে সারা দেশের বিড়ি কারখানাগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরের বিড়ি শিল্পখ্যাত হারাগাছ এলাকার সর্বশেষ ৫০টি বিড়ি কারখানার মধ্যে গুটি কয়েক কারখানা কোনো রকমে টিকে আছে। ফলে, বেকার হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
টিএ