বোতাম রপ্তানি করে সৈয়দপুরের এগ্রো রিসোর্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রপ্তানিকারক হিসেবে ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সালে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি, রপ্তানি) মনোনীত হন।
শহর ও গ্রাম এলাকায় গরু ও মহিষ জবাইয়ের পর শিং ও হাড় সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।
প্রথমে ১৯৮০ সালের দিকে শহরের কুন্দল এলাকায় ছোট্ট পরিসরে গরু ও মহিষের হাড় গুঁড়ো করার কাজ শুরু হয়। এসব গুঁড়ো আবাদি জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করে কৃষকরা ভালো ফসল পেতেন। ফলে চাহিদা বাড়তে থাকে এসব গুঁড়ো সারের। পরে প্রতিষ্ঠানটি বাইপাস সড়কে সরিয়ে নেওয়া হয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় মেশিনপত্র। এরপর শিং ও হাড় প্রসেস করে বাহারি ডিজাইনের বোতাম তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির অফিস খোলা হয় শহরের নতুন বাবুপাড়ায় ও ঢাকার মতিঝিলের মালেক ম্যানসনে।
এগ্রো রিসোর্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানে গরু ও মহিষের শিং দিয়ে তৈরি করা বোতাম, হাড়ের গুঁড়ো ও শিংয়ের গুঁড়োসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে আশির দশক থেকে রপ্তানি করে আসছি। দেশি গরুর চেয়ে ভারতীয় গরুর শিং আকারে বড়, মানেও ভালো।
তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় কিছু পর্যটক বাংলাদেশে এসে উন্নতমানের শিং ও হাড় নিয়ে যাচ্ছেন ভারতে। এ ক্ষেত্রে তারা হুন্ডি ব্যবহার করছেন। তারা এসব পণ্য কাঁচামাল হিসেবে দেখিয়ে বুড়িমারীসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর ব্যবহার করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হবে এবং বেকার হয়ে পড়বে শিল্প সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার শ্রমিক।
তিনি গরু ও মহিষের শিং (প্রসেস ব্যতীত) অবৈধভাবে অসত্য কাগজপত্র আন্ডার ইনভয়েজের মাধ্যমে যাতে যেতে না পারে এবং কোনো স্থলবন্দর ব্যবহারের সুযোগ না পায় সে দাবি জানান।
মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফেডারেল অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, বুড়িমারী ও বেনাপোল স্থলবন্দর অথরিটিকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এসআই