ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণের দাবি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠকে এসবিএমএ’র প্রতিনিধিদল

ঢাকা: স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরকে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে উল্লেখ করে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় স্টিল স্ট্রাকচার সেক্টরে শুল্ক হার দূরীকরণের দাবি জানিয়েছে স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসবিএমএ)।

সংগঠনটি জানায়, বর্তমানে এ শিল্পখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় এখন অভ্যন্তরীণ স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কাক্ষে এসবিএমএ’র এক প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ দাবি জানায়।  

বৈঠকে এসবিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. রেজওয়ানুল মামুন, উপদেষ্টা প্রশান্ত কুমার দাস, কোষাধক্ষ রফিকুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য তোফায়েল আহমদে তপনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের নেতারা বলেন, দীর্ঘস্থায়িত্ব, স্থানান্তর সুবিধা এবং জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় এনে দেশে স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার প্লান্ট, এলএনজি, রেলওয়ে গ্রিডার, হাইওয়ে ব্রিজসহ বড় বড় প্রকল্পে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সরকারি সুযোগপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলো শুল্কমুক্ত ফিনিস প্রোডাক্টস আমদানির সুবিধা পাওয়ায় এ শিল্পখাত অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এসবিএমএ’র নেতারা আরও বলেন, দেশীয় স্টিল বিল্ডিং শিল্পের পর্যাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এরপরও প্রকল্পের জন্য বিদেশ থেকে শূন্য শুল্কে স্টিল স্ট্রাকচার আমদানি কাম্য নয়। সরকারি অগ্রাধিকার প্রকল্পে দেশে উৎপাদিত স্টিল স্ট্রাকচার ব্যবহার হলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা লাভবান হবে। ফলে দেশে এ শিল্পের বিকাশ ঘটবে। বর্তমানে বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা স্টিল স্ট্রাকচার সংশ্লিষ্ট পণ্যের ক্ষেত্রে শতকরা ৫-১০ ভাগ হারে কাস্টমস ডিউটি প্রদান করলেও স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্সরা এসব পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি পরিশোধ করে থাকেন। তারা দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের শুল্ক বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। স্টিল স্ট্রাকচারকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ উল্লেখ করে এ শিল্পের প্রসারে সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।