জানা গেছে, গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরকে কেন্দ্র করেই এ বিশাল বিনিয়োগ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে দেশজুড়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ৯শ কোটি টাকা অনুদান দিতে চেয়েও মাত্র ৮২ কোটি টাকা দিয়েই বেঁকে বসে দেশটি।
যেসব খাতে সৌদি আরব বিনিয়োগ করতে চায় সেগুলোর মধ্যে আছে- জনশক্তি ও কর্মসংস্থান, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতসহ ধর্ম বিষয়ক খাত।
বুধবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের (জেসি) ১৩তম সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আব্দুল রাহমান গাসিম।
ইআরডি সূত্র জানায়, সৌদি কোম্পানি আল বাওয়ানি ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান শিল্প ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অবকাঠামো নির্মাণে এক হাজার হেক্টর জমি চেয়েছে। এ বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে সভায়। এর আগে নির্দিষ্ট আটটি প্রকল্পে ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে রাজি হয়েছিল সৌদি সরকার।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা-বরিশাল-পায়রা বন্দর হয়ে রেলপথ নির্মাণ অন্যতম। এছাড়া একটি তেল শোধনাগার এবং পেট্রোলিয়াম-রাসায়নিক স্টোরেজ সুবিধা স্থাপন, লালমনিরহাট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত সুবিধা, একটি সার কারখানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটকের উন্নয়ন।
এছাড়া একটি বিনিয়োগ সমর্থন তহবিল এবং পোর্টফোলিও বিনিয়োগ তহবিল গঠনে বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব। এরইমধেই প্রকল্পের সারসংক্ষেপ সৌদি সরকারের কাছে পাঠিয়েছে ইআরডি।
এ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সৌদি থেকে শুরু করে সকল উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত অনেক শক্ত। গত বছর প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কারণেই নানাখাতে বিশাল সৌদি বিনিয়োগের আশা করছি। এর আগে শুধু বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে জেসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার সরকারি পর্যায়ে পাশাপাশি সৌদি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও বৈঠক হবে। ’
সচিব আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের (জেসি) ১৩তম সভায় ভিসা, বাণিজ্য, জনশক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রেলপথ, বিমান চলাচল, টেলিযোগাযোগে বিনিয়োগের আশা করা হচ্ছে। সভায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এমআইএস/এজে