ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইচ্ছেমতো মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ, নাখোশ মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
ইচ্ছেমতো মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ, নাখোশ মন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার: ফাইল ফটো

ঢাকা: মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট প্যাকেজের ধরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ‘এক দেশ এক রেট’ চালু করতে বিটিআরসিকে আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রমনায় বিটিআরসি মিলনায়তনে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষে ‘অ্যাফোর্ডেবল স্মার্ট ডিভাইসেস’শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

প্রতিপাদ্যের উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

মন্ত্রী বলেন, এখানে মোবাইল অপারেটরদের সিইওরা আছেন, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য মোবাইল লাগবে। টুজি থেকে পর্যায়ক্রমে ফোরজি এসেছে এবং ফাইভজি আসছে। আমি দিনে যে পরিমাণ কল পাই তার ৫০ শতাংশের বেশি ডেটা কল আসে। তার মানে দিনে দিনে ভয়েস কলের চেয়ে ডেটা কলের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

‘অপারেটর এবং বিটিআরসির দৃষ্টি আকর্ষণ করবো, ভয়েস কলের জন্য একটি পদ্ধতি কাজ করে। আমি ফোন দিয়ে কথা বলবো মাস শেষে বিল আসবে বিল দিয়ে থাকি। কিন্তু ডেটার ক্ষেত্রে জনগণের জন্য অসম্ভব বাজে কাজ করে বসে আছি। ডেটার জন্য প্যাকেজ তৈরি করা হয় এবং এই প্যাকেজের কোনো সীমানা নাই। যার যা খুশি প্যাকেজ দিয়ে বসে থাকে। সেটার মেয়াদটা একদিন, দুই দিন, তিনদিন থেকে শুরু করে যেকোনো রকমের একটা মেয়াদ দিয়ে যেকোনো একটা চার্জ করে দিয়ে দেওয়া হয়। এটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ডেটা পেনিট্রেশনের জন্য প্রচণ্ড রকমের ক্ষতিকর। ’

মন্ত্রী বলেন, আমরা যে রকমভাবে ‘এক দেশ এক রেট’ তৈরি করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে বিপ্লব তৈরি করেছি, সেই বিপ্লবটা কী কারণে আমরা মোবাইল ক্ষেত্রে তৈরি করতে পারছি না? আমি বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করবো, দীর্ঘ দিন ধরে অনুরোধ করে আসছি। আমরা মোবাইলের ক্ষেত্রেও ‘একদেশ এক রেট দেখতে চাই’।  

মন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে আমরা দেখতে চাই, আমাদের অপারেটররা এটা বোঝে যে কেবলমাত্র টাকা কামাই করতে গেলে একটা দীর্ঘস্থায়ী ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠে না। তারা যদি ইচ্ছামতো প্যাকেজ দিয়ে ইচ্ছামতোভাবে তাদের ডেটা প্যাকেজ তৈরি করেন তাহলে সেগুলো প্রকৃতপক্ষে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাচ্ছি সেই লক্ষ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে না। আমি অনুরোধ করবো কাছে তাকায়েন না, একটু দূরে তাকান। দূরে যদি তাকান তাহলে দেখতে পারবেন যে আপনার সামনে ভবিষ্যতটা নির্ভর করছে। জনগণকে যতবেশি ডেটা ঘনিষ্ট করতে পারবেন ততই ভবিষ্যত তৈরি হবে। তখন মোবাইলেরও মার্কেট তৈরি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এমআইএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।