ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ৫০ হাজার তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করবে হুয়াওয়ে। আইসিটি একাডেমি সংযোজন, বিভিন্ন আইসিটি ও স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা, বিশেষ অনলাইন কোর্স, নতুন কর্মচারী নিয়োগ এমন সব পদক্ষেপ এ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দপ্তর ঢাকায় ‘বিল্ডিং এ স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম ইন সাউথ এশিয়া ফর সাউথ এশিয়া’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংবাদিক ও হুয়াওয়ে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল গঠন করে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এ অনুপ্রেরণায় সব গ্রাহক, সহযোগী, ইকসিস্টেম ও সর্বোপরি এ পাঁচটি দেশের জন্য আরও বেশি কাছ থেকে সেবা দেওয়ার জন্য উপ-অঞ্চলটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হুয়াওয়ে সবসময় প্রতিভা বিকাশের ওপর জোর দিয়েছে। কারণ, এটি স্থানীয় ক্ষমতায়ন ও সহযোগিতামূলক সাফল্যে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষ্যে হুয়াওয়ে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৬ হাজার জনেরও বেশি তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার নতুন আইসিটি প্রতিভা বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় গত কয়েক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া, হুয়াওয়ে স্টার্টআপগুলোকে সিড মানি (প্রাথমিক বিনিয়োগ) ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিতে আইসিটি ইনকিউবেটর আয়োজন করে থাকে। আইসিটি খাতের নারীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
সরকারি টেকনিক্যাল অফিসার, টেলকো অপারেটর, শিক্ষাবিদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ইকোসিস্টেম পার্টনারদের একত্রিত করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একাডেমিতে আইসিটি উদ্ভাবন, ও সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী সফল বিভিন্ন বিসনেস কেস প্রদর্শন করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন আইসিটি একাডেমি তৈরি করা হয়েছে। এই একাডেমিগুলোয় শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সার্টিফিকেট অর্জন করার সুযোগ পায়।
ইউয়িং বলেন, তিনটি বিষয় হুয়াওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ - অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সরবরাহ, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, এবং আইসিটি প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা। হুয়াওয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে। এই বিনিয়োগ আমাদের ইকোসিস্টেম সহযোগীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করতে এবং একসাথে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করে। এছাড়া, সম্প্রতি যেসব দেশ ডিজিটাল রূপান্তর নীতি গ্রহণ করেছে তারা মূলত দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করবে। আইসিটি খাতের উন্নয়নে দায়িত্বশীল সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ আমরা সারা বিশ্বে ২ হাজার ২০০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা প্রতি বছর গড়ে দুই লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজে