ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য ফাঁসের ঘটনার পুনঃতদন্ত দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
তথ্য ফাঁসের ঘটনার পুনঃতদন্ত দাবি

ঢাকা: দেশের ইতিহাসে নাগরিকদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে পুনঃ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘটনার সর্বজনস্বীকৃত পুনঃতদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টারের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ঘটনার দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে সোমবার পর্যালোচনা সভা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতি বলা হয়, এই প্রতিবেদন মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় এবং পক্ষ অবলম্বন করেই এই তথ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম রাষ্ট্রের এত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তদন্তে অবশ্যই দায়ী এবং অপারগ ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি কারণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করতে এবং ব্যর্থ হওয়ার কারণে জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম এই তদন্ত কমিটির যে দুজন ব্যক্তি রয়েছেন তারা প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। সাধারণত তদন্ত কমিটি গঠন করার সময় খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের অধ্যাপক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা থেকে নিয়োজিতরা থাকবেন কিন্তু তা করা হয়নি।  

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে কেবল ঘটনার দুর্বলতা এবং ভবিষ্যতে না ঘটার সুপারিশ করা হয়েছে। দায়িত্বে নিয়োজিত একজন ব্যক্তি যিনি উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন নয় অথচ তাকে যারা নিয়োজিত করলেন তাদেরও দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যিনিই হোন না কেন অবহেলার জন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। অথচ এই প্রতিবেদনে তারা কাউকে দায়ী বা শাস্তির সুপারিশ করেননি। প্রতিমন্ত্রী পাঁচ কোটি বা লাখ লাখ তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে এই মতামতের সঙ্গে একমত নন তবে তিনি কিংবা তদন্ত কমিটির কেউই সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় তদন্ত কমিটির প্রযুক্তি জ্ঞানের দুর্বলতা। নাগরিকদের জিমেইল, ক্রেডিট ডেবিড কার্ডের পাসওয়ার্ড, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য এমনকি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য বললেও বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি এই ঘটনার জন্য নাগরিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি।

এই তদন্ত সঠিক হয়নি জানিয়ে নতুন করে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন প্রযুক্তিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের অধ্যাপকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে তদন্ত করার দাবি জানান তারা।  

 বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।