ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে ৫ লাখ তরুণ-তরুণীদের এই ইনকিউবেশন থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

 

আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রাম পর্যায়ে ১ হাজার ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে। ২০ লাখ তরুণকে স্মার্ট স্কিলস প্রদান ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হবে। সারা দেশের সব ডিজিটাল সেন্টারে একটি করে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া শেরকোল এলাকায় বাংলাদেশ ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সিংড়া উদ্বোধন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন, হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ও ৮টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।  

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টার ও সেখানকার সম্মানিত উদ্যোক্তারা সামনের সারিতে থেকে ভূমিকা রাখছেন এবং আগামীতেও তারা কাজ করবেন। আর এভাবেই শহরের সব সুবিধা নিয়ে আগামীতে র্স্মাট বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট শহর গড়ে তুলতে কাজ করবে ডিজিটাল সেন্টার। নাগরিকরা হয়ে উঠবেন এক একজন স্মার্ট নাগরিক। আর গড়ে উঠবে স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। গ্রামে বসে মানুষ ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছেন। মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি, গ্রামে বসে জমির খাজনা, খারিজ, টেক্স, বিল দিতে পারবেন। যে কাজগুলো ৩ মাস সময় লাগতো, তা এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন ডিজিটাল সেন্টারের সেবাটা গ্রাম থেকে শুরু করবেন।

তিনি সেই সেবায় একজন ছেলে উদ্যোক্তা এবং একজন মেয়ে উদ্যোক্তাকে বসিয়েছেন। ২০১৩ সালে দেশের সব পৌরসভায় 'পৌর ডিজিটাল সেন্টার' ও সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে 'নগর ডিজিটাল সেন্টার' ২০১৮ সালে বিশেষ জনগোষ্ঠীর চাহিদার আলোকে 'স্পেশালাইজড ডিজিটাল সেন্টার' এবং ২০২৩ সালে গ্রাম পর্যায়ে ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার 'আমার গ্রাম আমার শহর' বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করছেন। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৩৮৫ অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তারা সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিকদের কাছে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিমাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখের বেশি জনকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-এটুআই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভুঞা, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মোক্তার আহমেদ, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ও উপসচিব মো. আমিরুল ইসলাম, এটুআই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রকল্পের ম্যানেজার মো. মাজেদুল ইসলাম, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ওহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী  লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগ্রামী জীবনের গৌরব গাঁথা ও সাফল্যের গল্প নিয়ে বক্তব্য দেন- জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সফল উদ্যোক্তা মিলা চৌধুরী ও সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সফল উদ্যোক্তা মো. ইসরাইল কবির।  

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিংড়ায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। পরে দুপুরে শেরকোল এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার ও হাইটেক পার্ক চত্বরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল সেন্টারের ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জেলার সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।