ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘কোড সামুরাই’র রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ ডিসেম্বর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
‘কোড সামুরাই’র রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ ডিসেম্বর

ঢাকা: বাংলাদেশ-জাপানের যৌথ উদ্যোগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা কোড সামুরাই-২০২৪ এর আবেদন ১০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে। অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) অডিটোরিয়াম কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মো. তারিক, কোড সামুরাই-২০২৪ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-জাপান ইনফরমেশন টেকনলোজি (বিজেআইটি) ও অন্যান্য কয়েকটি জাপানভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান এবং ঢাবির সিএসই বিভাগে যৌথ উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হচ্ছে।

অনলাইনে https://codesamuraibd.net সাইটে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন করা যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিভাগের সর্বোচ্চ স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কোড সামুরাই-২০২৪ এর সহ-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, নিবন্ধনকারী দলগুলোকে নিয়ে ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ১২০টি দলকে চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য নির্বাচন করা হবে। চূড়ান্ত পর্যায় দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটি ২০২৪ সালের ৯ মার্চ ১২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্য ৪০টি দলকে নির্বাচন করা হবে। তাদের নিয়ে ঢাবির সিএসই বিভাগে ২০২৪ সালের ১০ ও ১১ মে প্রতিযোগিতাটি সমাপ্ত হবে। প্রাথমিক নির্বাচন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রাথমিক পর্বসমূহ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এ বছর চূড়ান্ত পর্বের শুরুতে ১২০টি প্রতিযোগী দলের জন্য পরিচর্যা সেশনের পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেবেন, যা চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য প্রতিযোগীদের তৈরির ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

মামুন-অর-রশিদ আরও বলেন, কোড সামুরাই গতানুগতিক সকল হ্যাকাথন থেকে ব্যতিক্রম। কোড সামুরাই মূলত প্রযুক্তিজগতে উদ্ভাবনা, সহযোগিতা এবং সীমাহীন সম্ভাবনার একটি যাত্রা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তি শিল্পের সবচেয়ে সফল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বদের সাথে যোগাযোগেরমাধ্যমে তাদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা সঞ্চয়, জ্ঞানের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা ফলাফলকারী দলের জন্য আর্থিক পুরষ্কারের পাশাপাশি অন্যান্য পুরস্কার রয়েছে।

অধ্যাপক ড. উপমা কবির বলেন, বাংলাদেশের সমস্যাগুলো বিবেচনায় আমরা প্রতিবার একটা সমস্যা প্রতিযোগীদের সমাধান করতে দেই। আমাদের উদ্দেশ্য ছাত্ররা কীভাবে ভাবছে তা দেখা। একইসাথে চাকরিজীবনে যাতে দেশে অথবা বহির্বিশ্বে গিয়ে নতুন পরিবেশে টিকে থাকতে পারে, সে বিষয়টির চিন্তাও আমাদের রয়েছে। গত বছরের প্রতিযোগিতায় যারা ভালো করেছে, এদের কেউ কেউ জানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পেয়েছে।

শিক্ষার্থীদের করা সমাধান জাতীয় পর্যায়ে উত্থাপন করা হয় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পুরো প্রক্রিয়ার সাথে জাতীয় পর্যায়র অনেকেই জড়িত থাকেন। তবে এখনো এসব সমাধান জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা সমাধানে উত্থাপন করা হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।