ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিদর্শন

বেতনসহ অন্যান্য খরচ বিবেচনায় কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
বেতনসহ অন্যান্য খরচ বিবেচনায় কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা: টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কত টাকা বেতন-ভাতা দেওয়া হয়, কত টাকা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়, কত টাকা ইন্টারনেটে খরচ হয়, কতগুলো গাড়িতে কত লিটার তেল যায়- তার ভিত্তিতে পাঁচ মাসের কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

দায়িত্ব পেয়ে প্রথমবার টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে পলক বলেন, যে উদ্দেশ্যে অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করতে পেরেছি কি না, তা তুলে ধরবেন। ২০১৫ সালে যে কার্যক্রম শুরু হলো, যেখানে ১৪৩ জন কর্মরত আছেন, তাদের যে কার্যপরিধি, সেখানে প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড কী, তা একটা জবাবদিহিতার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ, আপনার-আমার যে বেতন-ভাতা সরকার দেয় সেটা জনগণের কষ্টার্জিত রক্ত ঘাম করা, ট্যাক্সের পয়সা থেকেই দেয়।  

তিনি বলেন, নিশ্চয় আমরা আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই। কত ভালোভাবে, কত অল্প খরচে কত বেশি সেবা জনগণকে দেওয়া যায়, তা অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর আমরা যাতে কাজের মধ্য দিয়ে আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাই, যতটুকু বেতন-ভাতা নিচ্ছি তার চেয়ে বেশি দেশ ও জনগণকে ফেরত দিচ্ছি। এ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা কাজ করছেন বলে আমার বিশ্বাস।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই অধিদপ্তরে সরকারের কত টাকা বেতন-ভাতা দেওয়া হয়, কত টাকা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়, কত টাকা ইন্টারনেটে খরচ হয়, কতগুলো গাড়িতে কত লিটার তেল খরচ হয়, যে জায়গায় আমরা ভবন করে বসে আছি, সে জায়গার ভেলুয়েশন কত, ভবনে যদি ভাড়া দিয়ে থাকতে হতো ,তাহলে কত লাগত; অর্থাৎ আমাদের বেতন-ভাতা, অপারেশনাল কস্ট, সরঞ্জাম ও অবকাঠামো, আমাদের সর্বমোট খরচ কত হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে আগামী পাঁচ মাসে আমাদের একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরকে আমরা একটি স্মার্ট, স্বচ্ছ ও ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান করতে পারি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ২০২৬ সালে যখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাব, সে সময়ে অধিদপ্তরের কী ভূমিকা থাকবে, সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী পাঁচ মাসের স্বল্পমেয়াদি, ২০২৬ পর্যন্ত মধ্যমেয়াদি এবং ২০৩১ পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। ২০৪১ সালে যে চূড়ান্ত লক্ষ্য, তার জন্য তিন ধাপে পরিকল্পনা জরুরি।  

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, ইকোনমি, গর্ভমেন্ট ও সোসাইটি; আইসিটি উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন জানিয়ে পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন টেলিযোগাগে অধিদপ্তরের কী কাজ হবে তা আপনারা তুলে ধরবেন। আমরা সেগুলো দেখব, জানবো বুঝব। প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিযোগাগে অধিদপ্তরের যে লক্ষ্য এবং তা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যের সঙ্গে কতটুকু সম্পর্কযুক্ত, তা আমরা বিশ্লেষণ করব। আগামী ৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কতটুকু অবদান থাকবে, তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক এবং অন্যান্য যে ওয়ার্কফোর্স অধিদপ্তরে কাজ করছে, সরকারের বেতন-ভাতা  নিচ্ছে, তাদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর কী হবে, তাও আপনারা তুলে ধরবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, কে কী কাজ করবেন, কখন করবেন, তা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি বছর শেষে আপনি কী অর্জন করতে চান, প্রধান পারফরমেন্স ইন্ডিকেটরগুলো কী হবে, সেগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলোও অর্জন করার চেষ্টা করবেন। গত বছর কী করেছেন, এ বছর কী করেছেন, আগামী বছর কী করতে চান, সবগুলো আপনাদের তুলনামূলক চিত্রের মধ্যে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।