ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টাওয়ার শেয়ারিং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
টাওয়ার শেয়ারিং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে: পলক

ঢাকা: টাওয়ার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, বিনিয়োগের আদর্শ গন্তব্যস্থল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরের সাফল্যের কথা তুলে ধরে পলক বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৩০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্ঠম বৃহত্তম টেলিকম শিল্পের দেশ। এই বিপুল সম্ভাবনার কারণে আরও বেশি ডিজিটাল পরিষেবা, স্মার্ট সমাধান এবং ডিজিটাল পণ্যগুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ইত্যাদির জন্য ইন্টারনেটভিত্তিক সমাধান ও পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সামিট কমিউনিকেশনস গ্রুপের কোম্পানি সামিট টাওয়ার্স লিমিটেড এর “টাওয়ার্স অধিগ্রহণ উদযাপন " অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার নিজে ব্যবসা করবে না, ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করছি। বাংলালিংক ও সামিট একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতাকেই বাস্তবায়িত করছে। জন-সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে ২০৪১ সালের মধ্যে গড়ে উঠবে উন্নত ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ, যার মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হবে সাস্টেইনেবল, ইন্টেলিজেন্ট, ইফিশিয়েন্ট এবং ইনোভেটিভ। যেখানে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সরকার বা প্রশাসন, প্রাইভেট সেক্টর এবং শিক্ষাব্যবস্থা। বাংলাদেশেকে তাদের পরবর্তী বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ভিওন গ্রুপের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

পলক বলেন, বাংলালিংক এবং সামিট যেভাবে একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করছে, সেভাবে সকলের উচিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে সকলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করা। দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে এখন দ্রুতগতির ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে। সামিট কমিউনিকেশন যে ২ হাজারের বেশি টাওয়ার অধিগ্রহণ করেছে, বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। ২০৪১ সাল নাগাদ সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলার যাত্রায় সামিট আমাদের সঙ্গে থাকবে। টাওয়ার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, ভিওন গ্রুপের সিইও কান টেরজিওগ্লু, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০,২০২৪
এমআইএইচ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।