ঢাকা: বর্তমান বিশ্ব চলছে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে। ইন্টারনেট ছাড়া আমরা কোনো কিছু এখন চিন্তা করতে পারি না।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবায় দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। শহরাঞ্চলের ঘরে ঘরে এখন ইন্টারনেটের আলো জ্বলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদালয়ে নিজেরা অ্যানড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে ভর্তি থেকে শুরু সার্বিক প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে অনলাইন ফরম পূরণ করে অংশ নিচ্ছেন। গ্রামের মানুষ বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদনপত্র ঘরে বসেই পূরণ করছে অনলাইনে।
শেখ নাইম বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রত্যন্ত এলাকা পেকুয়ায় ‘সুচিন্তা বাংলাদেশ’র আয়োজনে ‘গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল উন্নয়ন সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক আলোচনায় উপস্থিত হয়ে উপলদ্ধি করতে পেরেছি, গ্রামাঞ্চল আগের চেয়ে অনেক বেশি ডিজিটাল পদ্ধতির নানামুখী সেবা ভোগ করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে দুর্গম চরাঞ্চলের নারীরা তাদের প্রবাসী স্বামী ও স্বজনদের সঙ্গে অ্যানড্রয়েড মুঠোফোনে একে-অপরকে দেখে যোগাযোগ করছেন। সুখ-দুঃখ-আবেগ ভাগাভাগি করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে ব্যারিস্টার শেখ নাইম স্বপ্ন দেখেন একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক গতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বর্পূণ। এটা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। বোমা মারা আর মানুষ মারার রাজনীতি তরুণরা দেখতে চায় না।
যুবলীগের এ কেন্দ্রীয় সদস্য বলেন, শিক্ষার হার, মান উন্নয়ন বাড়ানো এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নতুন প্রজম্মের মেধা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের স্বপ্ন শিক্ষিত জাতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ।
শেখ নাইম বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে। সমগ্র দেশকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা সেই অঙ্গীকারের একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, বিটিসিএল গ্রামাঞ্চলকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সরকারের অঙ্গীকার পুরোপুরি পূরণ হবে। প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়িত হবে বলেও আশাবাদী আমি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫