অবশেষে গুগলের ওএস ডিস্ট্রিবিউশন তালিকায় নাম উঠেছে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ (ললিপপ) ভার্সনের। এ মুহূর্তে সার্চ জায়ান্টের লেটেষ্ট ভার্সনটি বিশ্ব্যাপী মাত্র ১.৬ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড পণ্যে ব্যবহার হচ্ছে।
তাছাড়া ললিপপ নিয়ে গুগলের এই কার্যক্রম ধীরগতিতে হয়েছে এমনও মত আসতে পারে প্রযুক্তি অঙ্গন থেকে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছে অ্যাপলের আইওএস এর উন্নয়নের পাশাপাশি গুগলও তাদের মোবাইল প্লাটফর্মের ওএস’এ সুবিধা বাড়াতে এতোদিন ব্যস্ত ছিল।
বলা হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ’র এই ফলাফল অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে উৎসাহ তৈরির মতো নয় বরং হতাশা তৈরির মতো।
এর আগে কিটক্যাটের এই সংস্করণের ৩৯.১ ভাগ ব্যবহার হচ্ছে বলে জনায় সংবাদমাধ্যম।
গুগল ওএস এর পরিসংখ্যানের চিত্র অনুযায়ী অন্যান্য পুরনো সংস্করণগুলোর অবস্থা একেবারে নিস্তেজ।
আর ললিপপের এই অবস্থার কারণ হলো গুগলের পলিসি পরিবর্তন। কেননা নতুন যেসব স্মার্টফোন আসছে লেটেস্ট ভার্সনটি সেগুলোর জন্যই নির্ধারণ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছে, এ ঘটনার পরও শ্রেণী বিভক্তের বিষযটি মাথায় রাখতে হবে।
কারণ এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে নতুন গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ তেকে, যেখানে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ এবং এর উপরেরগুলো সমর্থন করে। আর যেসব ডিভা্ইসে পুরনো ভার্সন রয়েছে তা এখানে সংযুক্ত নেই।
অবশ্য, ২০১৩ সালের আগস্টে গুগল প্লে স্টোর থেকে নয় সার্ভার থেকে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ এর নিচের ভার্সনগুলো হিসাবে আনা হয়।
তাই বর্তমানে প্রকাশিত এই চার্টটি থেকে অ্যান্ড্রয়েড পণ্যের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা আসতে পারে। যে জন্য খুব শীঘ্রই যথাযথ পদ্ধতিতে গুগলকে অ্যান্ড্রয়েড ওএস’র পরিসংখ্যান দেয়া উচিত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫