বাংলা ভাষা ও বাংলা তথ্য ভান্ডারকে বিশ্বের কাছে পৌছে দিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে গুটল ট্রান্সলেট। আর গুগল ট্রান্সলেটে বাংলাকে সমৃ্ধ করার দায়িত্ব আমাদেরই।
সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগি হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক।
গুগলের পক্ষ থেকে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন গুগল ট্রান্সলেটের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অ্যার্ন মসের, মার্কেটিং স্পেশালিস্ট ক্যাটি স্যান্ডলারসর, বাংলাদেশে গুগলের কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ড. খান মো. আনোয়ারুস সালাম, গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপ বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান পিয়াস ও জাবেদ মোর্শেদ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। ডিআইইউ এর পক্ষ থেকে ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রহমান, ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন।
সেমিনারে গুগলে বাংলা ট্রান্সলেশন কিভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায় এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন জাবেদ সুলতান।
তিনি বলেন, এই ফেব্রুয়ারি মাসে গুগল ট্রান্সলেশনে অবদান রাখতে জিডিজি বাংলা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। মাস জুড়ে দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুগল ট্রান্সলেশনে শব্দ যোগের বিশেষ কার্যক্রম ‘গুগল ট্রান্সলেশন-এ-থন’। এক মাসে দুই লাখ বাংলা শব্দযোগ করা হবে গুগলে। http://translate.google.com/community -এই ঠিকানায় গিয়ে এই কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন যে কেউ; সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহনের জন্য থাকবে আকর্ষনীয় পুরস্কার।
খান মো. আনওয়ারুস সালাম গুগলের বিভিন্ন সেবা বিশেষ করে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জিডিজি বাংলার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এটা শুরু মাত্র।
গুগল ট্রান্সলেশন কিভাবে কাজ করে অ্যার্ন মসের বক্তব্যে তা তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, প্রত্যেক ভাষায় অনুবাদই জটিল। এই কঠিন কাজটি সহজ করতেই কাজ করছে গুগল। আর বাংলাকে এখানে আরও নির্ভুল করতে প্রয়োজন সবার অংশগ্রহন।
গত ডিসেম্বর মাসে ‘সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা’ শ্লোগানে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শুরু হয় গুগল ডেভেলপারস্ গ্রুপ জিডিজি বাংলার কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর ১০৬টি দেশে ৫৯৬টি জিডিজি কাজ করছে। এর সবগুলোই এলাকা-ভিত্তীক। ডিজিডি বাংলা হলো ভাষা-ভিত্তীক প্রথম জিডিডি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫