ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫

‘এখানেই ভবিষ্যত’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫
‘এখানেই ভবিষ্যত’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিআইসিসি থেকে: ‘ফিউচার ইজ হেয়ার’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীতে পর্দা উঠলো ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ এর।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে চারদিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এবারের স্লোগানের বাংলা অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায় ‘এখানেই ভবিষ্যত’। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনকারী সংস্থা সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। আর এ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘এখানেই ভবিষ্যত’ এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, আগামী বিশ্ব হবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। এরই মধ্যে বিষয়টি টের পেতে শুরু করেছেন বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষ। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবেন তরুণ-তরুণীরা। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে এলে এ প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা জানতে পারবেন তাদের ভবিষ্যত কিভাবে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। মেলায় এসে তাদের ভবিষ্যত কোনদিকে যাবে তাও ঠিক করে নিতে পারবেন তারা।  

আয়োজকরা জানান, বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে আসা ৮৫ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ১২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০০টি সরকারি সংস্থা অংশ নিয়েছে বিশ্ব প্রযুক্তির এই মিলনমেলায়। এতোসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাংলাদেশে বসে দেখার এটিই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।

মোট ২৪টি সেমিনার, ৯টি কনফারেন্স এবং ১১টি প্রশিক্ষণ কর্মশালার পাশাপাশি ৪ দিনের এ প্রযুক্তি সম্মেলনে থাকছে ৪টি প্রদর্শনী। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা উপস্থাপনে এসব প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে ই-গভর্নেন্স এক্সপো, বেসিস সফট এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো এবং ই-কমার্স এক্সপো। পাশাপাশি ই-কমার্স জোন, বিপিও ফোরাম, ডেভেলপারস ফোরাম, আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স এবং আউটসোর্সিং ফোরামের মতো নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পসরা নিয়ে হাজির থাকছেন তরুণ প্রযুক্তিবিদরা।  

এগুলোর মাধ্যমে তরুণরা বিশ্বের সর্বশেষ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান সরাসরি জানতে পারবেন, যা হবে তাদের ভবিষ্যতের চলার পথের পাথেয়।     

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেসিস আয়োজন করে আসছে বেসিস সফটএক্সপো। দেশের সফটওয়্যার ও আইটি খাতের সর্ববৃহৎ মেলা হিসেবে ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় পরিণত হয়েছে এটি। গত বছর থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের অন্যতম অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে সফটএক্সপো। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এ সফটওয়্যার ও আইটিইএস খাতের ৭২টি স্টলে দেশে তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার সলিউশন্স প্রদর্শন করবে বেসিস সদস্য কোম্পানি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সফটএক্সপো থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক সফটওয়্যার ও তার সুবিধাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন দর্শকরা।  

মেলার প্রায় ১০০টি স্টল থেকে নানা ই-সেবা প্রদর্শন করবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর। মূলত ‘ই-গভর্নেন্স’  শীর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে জানা যাবে।

অনলাইনে ঘরে বসে কেনাকাটার নানা আয়োজন নিয়ে মেলায় থাকছে ৪টি প্যাভিলিয়ন, ১০টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২২টি স্টল। নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটার নানা অফারের পাশাপাশি নিজেদের সেবার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।    

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপে বাংলাদেশের জয়যাত্রা তুলে ধরতে ৪২টি স্টলে রয়েছে ‘মোবাইল ইনোভেশন’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এখানে বাংলাদেশি ডেভেলপার কোম্পানির জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। উইন্ডোজ, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের সহস্রাধিক দেশি অ্যাপ্লিকেশন থাকবে মোবাইল ইনোভেশন জোনে।

আয়োজকরা বলছেন, এতোসব আয়োজনই তরুণদের ভবিষ্যত নির্ধারণে হবে সহায়ক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫

** থাকছে মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স-ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড
** ২৫ দেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের মিলনমেলা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।