ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিআইসিসি থেকে: সু-উচ্চ ভবনের ওপরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সবর্শেষ অবস্থা জানাতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে ড্রোন। জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ সরবরাহসহ মালামাল পরিবহনে সময় বাঁচাবে ‘ড্যাফোডিল ড্রোন’।
এছাড়াও চলচ্চিত্র নির্মাণে যথাযথ অ্যাঙ্গেলের ছবি শ্যুট করতে এ ড্রোন অত্যন্ত কার্যকর বলে জানালেন বেসরকারি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ।
‘ফিউচার ইজ হেয়ার’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে চার দিনব্যাপী (৯-১২ ফেব্রুয়ারি) ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫’। ৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ সদস্যের এ টিমের দলনেতা নাহিদ বাংলানিউজকে জানান, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং নিধারণ করে চলতে পারে এ ড্রোন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে জিপিএস সিগন্যালের ওপর। সিগন্যাল দুর্বল হলে বা ওঠা-নামা করলে যেকোনো সময় তা ছিটকে পড়তে পারে।
আকারে ছোট ও বড় দু’টি ড্রোন নিয়ে প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছেন তারা। ছোট ড্রোনটির ওজন ৮০০ গ্রাম। আর বড় ড্রোনটির ওজন প্রায় আড়াই কেজি। তবে বড় ড্রোনটির বিশেষত্ব হলো এটি ৫ কেজি ওজন বহন করতে সক্ষম।
ড্রোনগুলো কতোদূর উড়তে পারে জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, টেলিমেট্রি কন্ট্রোল ব্যবহার করে ৮০০ মিটার দূরত্বে ওড়ানো সম্ভব। তবে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত ওড়ানো যায়।
ড্রোন তৈরির বিষয়ে নাহিদ জানান, বড় বড় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে আপনি যদি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন তবে আগুন আরো বেড়ে যাবে। হার্টঅ্যাটাকের মতো ঘটনায় দ্রুত ওষুধ সরবরাহেও ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া চলচ্চিত্রে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবি শ্যুট করা যাবে।
মূল বডিতে মোটর, পাখা, ক্যাবল, ক্যামেরা ছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে পোলারাইজড অ্যান্টেনা। ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত ক্যাবলের মাধ্যমে ল্যাপটপ থেকে দেখা যাবে ড্রোনের সার্বিক অবস্থা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্যাল প্রতিযোগিতায় বড় ড্রোনটি প্রথম স্থান অর্জন করেছে বলে জানান টিম লিডার নাহিদ। এ ধরনের ড্রোন নির্মাণে কতো ব্যয় হয়েছে তা না জানাতে পারলেও ২০২৫ সাল নাগাদ ড্রোনের ব্যবহার বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করেছে।
বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে আসা ৮৫ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ১২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০০টি সরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে বসেছে বিশ্ব প্রযুক্তির এ মিলন মেলা।
আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের প্রযুক্তির এ মিলনমেলায় সহযোগী হিসেবে আরও রয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলোজি (বিডব্লিউআইটি), সিটিও ফোরাম, আইএসপিএবি এবং সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক উদ্যোক্তা সংগঠন টাই বাংলাদেশ।
মেলায় অনুষ্ঠিত সেমিনার, কমর্শালা এবং কারিগরি সেশন ছাড়াও মেলার বিভিন্ন আয়োজন সরাসরি ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫’ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (www.facebook.com/digitalworldbangladesh) মেলার সব আপডেট পাওয়া যাবে। ইউটিউবে (www.digitalworld.org.bd) পাওয়া যাবে এসব আয়োজনের ভিডিও লিঙ্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫
** মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে শুরু দ্বিতীয় দিন