ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিআইসিসি থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রতিদিন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা, বইয়ের লেখক, প্রকাশনী, বইয়ের দামসহ যাবতীয় তথ্য দিচ্ছে ‘একুশের বই’। না, এটি অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে পৃষ্ঠপোষক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যা নয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যেকোনো বইপ্রেমী অনায়াসে জানতে পারবেন এসব তথ্য। এমনকি হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে তোলা বইমেলার বিশেষ মুহূর্তের ছবিটিও আপলোড করতে পারবেন এই ‘একুশের বই’এ।
তার আগে গুগল প্লে-স্টোরে ঢুকে হাতের ওই স্মার্টফোনটিতে ইনস্টল করে নিন ‘একুশের বই’ নামের এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিংবা বিদেশে বইপ্রেমীরা যেখানেই থাকুন না কেন জানতে পারবেন প্রিয় সব বইয়ের খবর।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৫ উপলক্ষে অ্যাপটি তৈরি করেছে মোবিওঅ্যাপ নামের সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বইমেলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল ওয়ালর্ড ফেয়ারে মোবিওঅ্যাপ’র স্টল থেকে ‘একুশের বই’র প্রচার চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
মোবিওঅ্যাপের সিনিয়র বিজনেস অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যে অ্যাপসগুলো তৈরি করি, সেগুলোর স্থায়িত্ব একেকটির একেক রকম। ‘একুশের বই’ অ্যাপ্লিকেশনটি বইমেলা উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক বৈরি পরিস্থিতির কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা বইমেলায় আসতে পারছেন না অথবা যারা দেশের বাইরে আছেন তারা খুব সহজেই বইমেলার তথ্য পাচ্ছেন এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে।
মামুন জানান, অ্যাপ্লিকেশনটিতে প্রতিদিনের নতুন বইয়ের আপডেটের পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশনটির সার্চ অপশনে গিয়ে প্রিয় বইটির দাম প্রকাশনাসহ যাবতীয় তথ্য পাবেন একজন পাঠক। এছাড়া বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের খবর ছাড়াও বইমেলা সংক্রান্ত টুকিটাকি সব খবরা-খবরও আছে একটি অপশনে।
তবে অ্যাপ্লিকেশনটি এখনো পরিপূর্ণ হয়নি উল্লেখ করে মামুন বলেন, এবারের বইমেলায় আমরা শুরু করেছি। মেলা শেষ হওয়ার পর এবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামী মেলার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটিকে কিভাবে আরো আপডেট করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।
‘ফিউচার ইজ হেয়ার’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন (বিআইসিসি) কেন্দ্রে চলছে চার দিনব্যাপী (৯-১২ ফেব্রুয়ারি) ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫’। ৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রয়ারি) মেলার চতুর্থ এবং শেষ দিন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করেছে।
বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে আসা ৮৫ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ১২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০০টি সরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে বসেছে বিশ্ব প্রযুক্তির এ মিলনমেলা। আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বেসিস)।
মেলার চতুর্থ এবং শেষ দিনেও রয়েছে বিভিন্ন সেমিনার, বিজনেস ও কর্মশালার ওপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সেশন। রয়েছে কনফারেন্সও। সবশেষে রয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
** সফল সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান সেমিকন