ঢাকা: সোমবার(৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪ দিন ব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর আইটিইউয়ের মহাসচিব হোউলিন ঝাও, টিপসি অ্যান্ড টাম্বলারের প্রতিষ্ঠাতা বয়েডলু পোলেন্টাইন, ক্লাউডক্যাম্প প্রতিষ্ঠাতা ডেভ নিয়েলসেন, টাই সিলিকন ভ্যালি প্রেসিডেন্ট ভেঙ্ক শুক্লা, রিভ সিস্টেমস সফটওয়্যারের গ্রুপ সিইও এম. রেজাউল হাসান ও ফেইসবুকের পরিচালক(ভারত) আখিঁ দাশসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ দর্শনার্থী ঘুরে যান এই প্রদর্শনী ও মেলা ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় তথ্য প্রযুক্তিখাতে অবদান রাখা ৫৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে পর্দা নামে চার দিন ব্যাপী এই বর্ণ্যাঢ্য আয়োজনের।
সবার অভাবনীয় সাড়া পাওয়ায় খুশি আয়োজকরা । এই প্রসঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মেলায় প্রায় সাড়ে চার লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাফল্য নয়, এটা ১৬ কোটি মানুষের সাফল্য। ’
২৫ দেশের ৮৫ জন আইটি বিশেষজ্ঞের মিলনমেলায় পরিণত হয় তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫‘।
টাই সিলিকন ভ্যালি, গুগল, ফেসবুক, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নসহ (আইটিইউ) পরিচিত সব ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের প্রদর্শনী।
দেশের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফল ব্যক্তিত্বদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করতেই এই মিলনমেলা।
এছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশ নেন গুগলের সাউথ এশিয়ার হেড অফ সেলস বেন কিং, গুগলের হেড অব এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট বিকি রাসেল, মার্কেটিং স্পেশালিস্ট ক্যাটি স্যান্ডারস, গুগল স্পিচের সফটওয়্যার প্রকৌশলী রবি রাজকুমার, গুগলের পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আশা সন্থালিয়া, গুগল সাউথ এশিয়ার ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট ফজল আশফাক, গুগল ট্রান্সলেটের সফটওয়্যার প্রকৌশলী আর্নে মৌসার।
গুগল ছাড়াও ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এবং হেড অফ পাবলিক পলিসি আঁখি দাস, অ্যাকসেঞ্চার বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অবিনাশ ভাসিস্তা, অগমেডির সিইও এবং কো-ফাউন্ডার আইয়ান শাকিল, এনটিএফ থ্রি প্রকল্প পরিচালক মার্টিন লাব্বি, বিক্রয় ডটকম প্রধান মার্টিন মালস্ট্রম প্রমুখ।
এসব বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ২০টি সেমিনার, ১১টি কনফারেন্স, ১৩টি টেকনিক্যাল ও ই-গভর্নেন্স নিয়ে ১১টি এবং ৩টি স্পেশাল সেশনের আয়োজন করা হয়।
মেলার প্রায় ১শ’টি স্টল থেকে নানা ই-সেবা প্রদর্শন করছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর। মূলত ‘ই-গভর্নেন্স’ শীর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যায় এই মেলায়। পাশাপাশি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কেও জানানো হয়। প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পযর্ন্ত উৎসবে পরিণত হয় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫