ঢাকা: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্সের জন্য ১২ শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ক প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক।
এ মাধ্যমে তরুণরা নতুন জীবন খুঁজে পাবেন বলে মন্তব্য করেন বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পিপল এন টেক কার্যালয়ে স্কলারশিপপ্রাপ্তদের ‘উইনার কার্ড’ দেওয়া হয়। তারা পিপল এন টেক’র বাংলাদেশ শাখার পঞ্চম ব্যাচে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নেবেন। সাধারণত এ প্রশিক্ষণের জন্য ৯৫ হাজার দুশ’ টাকা ফি দিতে হয় প্রশিক্ষণার্থীদের। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-এ লটারির মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়।
অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, জাপান নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বিশ্বজয় করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের সে শিক্ষা দিতে পারিনি। অনেকের প্রযুক্তি জ্ঞান থাকলেও শুধুমাত্র ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকায় পিছিয়ে পড়ছেন।
পশ্চিমা বিশ্বে অনেক বেশি আয়ের সুযোগ থাকলেও আমরা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছি শুধুমাত্র প্রযুক্তি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ভালো ধারণা। তবে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছি না।
তিনি বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করলেন বিদেশে সে বিষয়টি বড় নয়। বিদেশিরা বুঝতে চায় কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন কি-না।
শিক্ষার্থীদের বিদেশ গিয়ে আইল্যান্ড তৈরি করার আহবান জানান বুয়েটের এই অধ্যাপক।
আইটি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’ ২০০৪ সালে আমেরিকায় যাত্রা শুরু করে। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল ডিভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকায় পাড়ি জমানো তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং চাকরির বাজারে তাদের উপযোগিতা তৈরি করা।
ডিভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকায় স্বপ্ন বুনতে যাওয়া অনেকেই সামান্য বেতনে চাকরি করতে বাধ্য হতেন। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বছরে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ডলার আয়ের পথ সুগম করেছেন। এরই মধ্যে কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী পিপল এন টেকের সাহায্যে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) শেখ দুর্জয় জামান।
আমেরিকার পর কানাডা ও ভারতে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর বাংলাদেশে রাজধানীর গ্রীন রোডে ২০১৪ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে পিপল এন টেক। এরই মধ্যে বাংলাদেশে চারটি ব্যাচে এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই পঞ্চম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। যাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩২ ঘণ্টা বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ৪৮ ঘণ্টা ইংরেজি শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পিপল এন টেক’র বাংলাদেশ অফিস জানিয়েছে, যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, বিজনেস অ্যানালিস্ট, ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বেসিক কম্পিউটার কোর্স। এছাড়া ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেস্কটপ ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ওরাকল সার্টিফিকেট প্রফেশনাল কোর্স, বহির্বিশ্বের আউটসোর্সিং ভিত্তিক ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্সও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পাশাপাশি যেসব বাংলাদেশির ইমিগ্রেশন ভিসা পাওয়ার সুযোগ নেই, কিন্তু আইটি খাতে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য পিপল এন টেক এইচওয়ানবি ভিসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিপল এন টেক’র উপদেষ্টা অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
পিপল এন টেকে যোগাযোগ করার মোবাইল নম্বর ০১৭৯৯৪৪৬৬৫৫ অথবা ০১৬১১৪৪৬৬৯৯, ই-মেইল: jobs@piit.us ওয়েব: www.piit.us সামাজিক মাধ্যম: facebook.com/peoplentech, twitter.com/Peoplentech, youtube.com/peoplentech
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
** ১২ জনকে আইটি স্কলারশিপ দিল ‘পিপল এন টেক’