ঢাকা: অবাঞ্ছিত মেইল বা স্প্যামের ক্ষতিকর সফটওয়্যারে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও মোবাইলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অথচ প্রতিদিনই ইমেইলে অপ্রত্যাশিত মেইল এসে ভরে আছে স্প্যাম।
এসব মেইলে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার, হ্যাকিং লিংক, প্রস্তাব এমনকি হুমকিও থাকে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে কাউকে স্প্যামাররা এ মেইল পাঠান না।
বিভিন্ন সাইটে আমরা যখন মেইল পাঠাই, না জানিয়েই তারা তা স্প্যামারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর স্প্যামাররা আমাদের ঠিকানায় মেইল পাঠাতে শুরু করে, যা অপ্রত্যাশিত ও অপ্রয়োজনীয়।
যদি অনেক লোককে একইসঙ্গে মেইল করতে হয়, তবে ইমেইলের ব্লাউন্ড কার্বন কপি (বিসিসি) ব্যবহার করবেন; কার্বন কপি (সিসি) করবেন না। এতে কেবল নিজের মেইলটিই দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তাতে স্প্যামের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমবে।
সন্দেহজনক প্রেরকের ঠিকানা, সম্ভাব্য স্প্যামের লক্ষণগুলো ইমেইল হিডার ভুল করে বসে। কেউ মেইল পাঠালে সেটা কোথায় যাবে, তা ঠিক করে এই হিডার। সে ক্ষেত্রে স্প্যাম আসা সহজেই বন্ধ হবে না।
কাজেই আপনি যদি কোনো একটি স্প্যাম খুলেই বসেন, তবে ফিরতি মেইল বা রিপ্লাই করবেন না।
যদি কোনো অবাঞ্ছিত মেইল পেয়ে আপনার মনে হয় তা আপনার ব্যাংক, ক্রেডিট কোম্পানি বা এরকম কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে এসেছে; মুহূর্তেই সতর্ক হন। কোনো লিংকে ক্লিক করে যদি আপনাকে মেইলের জবাব দিতে বলা হয়, তবে তা করবেন না।
নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমরা ইমেইল ঠিকানা পাঠাই। সাইন আপ, ফিডব্যাক ও নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজে ওয়েবসাইটগুলোকে ইমেইল ঠিকানা দিতে হয়। বিভিন্ন সাইটে সাইন আপ, নিবন্ধন করা মানেই আসতে শুরু করবে অপ্রয়োজনীয় মেইলও। এ ক্ষেত্রে যন্ত্রণা এড়াতে দু’টি মেইল ঠিকানা ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫