সম্প্রতি বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, ডিজিটাল ডিভাইসে বাংলা লেখার সফটওয়্যার বিজয়ের কপিরাইট ও প্যাটেন্টকৃত কীবোর্ড লেআউট আংশিক পরিবর্তন করে গুগল প্লেস্টোরে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য দুটি অ্যাপ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, বিসিএসের প্রাক্তন সভাপতি, আনন্দ কম্পিউটারসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজয়ের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার গুগল কর্তৃপক্ষকে অ্যাপ দুটি অপসারণের জন্য অনুরোধ করলে অ্যাপ দুটি সরিয়ে নেয় গুগল।
কিন্তু অ্যাপ দুটি অপসারণের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণাত্মক মন্তব্য ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে বেসিসকে জানিয়েছেন তিনি।
দেশের শীর্ষ এই সফটওয়্যার সংগঠন বলছে, প্রায় ২৮ বছর ধরে মোস্তাফা জব্বার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাকে এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং হুমকি দেওয়া দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্যে মোটেও ইতিবাচক নয়। তাছাড়া এ খাতে সংশ্লিষ্টরা যেকেনো বিতর্কে শোভন ভাষা ব্যবহার করবেন এটাই বেসিসের প্রত্যাশা। সংগঠনটির মতে, দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে মেধাসত্ব আইন সংরক্ষণ করা জরুরী। বিজয় সফটওয়্যারের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফা জব্বার এটির কপিরাইট ও প্যাটেন্ট করেছেন, তাই হুবহু কিংবা আংশিক পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক এমনকি বিনামূল্যে বিতরণ করাও সমীচীন নয়।
একইসঙ্গে তারা এটাও বিশ্বাস করে, বাংলাকে জনপ্রিয় করতে কপিরাইট বা উন্মুক্ত যেকোনো উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যারা নিজ উদ্যোগে বাংলার ব্যবহার সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বেসিস সবসময়য় তাদের পাশে থাকবে। তবে উন্মুক্ত সফটওয়ারের ক্ষেত্রে কপিরাইট লঙ্ঘন না করে নতুন উদ্ভাবন বা প্রয়োজনীয় লিখিত পার্টনারশিপ জরুরী।
বেসিস এছাড়াও মনে করে, তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্যের চেয়ে আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করা সমীচীন। সেইসাথে সফটওয়্যার পণ্য ও সেবার মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ ও প্যাটেন্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতে বেসিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫