স্মার্টফোনের চেয়ে সামান্য একটি ইউএসবি ক্যাবল কিনতেই খরচ হবে বেশি। ৭৯ ডলারের এমন একটি ব্যয়বুহল পণ্য নিয়ে এসেছে অ্যাপল।
এরইসাথে সাড়া জাগানো সেই ম্যাকবুকও উন্মোচন করেছে কোপার্টিনোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য মতে, ম্যকবুকটি সম্পূর্ণ নতুন এর প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুনত্বের ছোয়া রয়েছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে চিকন এবং হালকা ম্যাকবুক এটি এমনও দাবি তাদের। ম্যাকবুকটির পুরুত্ব ১.৩ সেন্টিমিটার, ওজন এক কিলোগ্রমেরও কম। যে বৈশিষ্ট্যগুলো নি:সন্দেহে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করবে বলে ভাবছে তারা।
প্রতিবেদনগুলোতে এর অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে, পণ্যটির গঠন অবয়বের দিকটি লক্ষে রেখে চাকচিক্য ও মসৃণ করা হলেও সংযোগ অপশনের ক্ষেত্রে আপোষ করেছে অ্যাপল। কারণ এই কম্পিউটারে কেবলমাত্র ৩.৫ মিমি. জ্যাক এবং বিষ্ময়কর পোর্ট (উল্টোনোর যোগ্য সি-টাইপ ইউএসবি যেটা নতুন আইফোনে আছে) দেয়া আছে। তাই পেনড্রাইভ কিংবা তারযুক্ত মাউস সংযোগ হবে কিভাবে এ নিয়ে আছে প্রশ্ন। অ্যাপলও তার জবাব দিয়েছে অবিলম্বে। কারণ নতুন ম্যাকবুকটি কিনেলে সঙ্গে অ্যাপলের মাল্টিপল অ্যাডাপ্টরও কিনতে হবে।
এরইমধ্যে প্রযুক্তি অঙ্গনের লোকজন ম্যাকবুক ও এর অত্যাবশ্যক উপাদানটি এক ঝলক দেখে নিয়ে বলছে, বাড়তি কোনো হার্ডওয়্যার বহনের চেয়ে বরং পেনড্রাইভের মত পণ্যটি ব্যবহারে সাচ্ছন্দ্য আনবে।
তিন পোর্টের ছোট ক্যাবলটির দাম যুক্তরাষ্ট্রে ৭৯ ডলার যা টাকায় ৬ হাজারের বেশি। তাই ম্যাকবুকটি কেনার সামর্থ্য আছে যাদের তারা কোনো কিছু না ভেবেই সহায়ক ক্যাবলটিও কিনে ফেলবেনে।
পণ্য তৈরিতে অ্যাপল সবসময় মানের দিকটি খেয়ার রাখে কিন্তু মাল্টিপোর্ট এই অ্যাডাপ্টরে দাম নির্ধারণে সঠিক বিবেচনা করেনি। এর অভ্যন্তরে কি এমন রয়েছে তা পর্যবেক্ষণের পর আলোচকরা বলছে চীনা ব্র্যান্ডের কথা না বাদ যাক নকিয়া, মটোরোলা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন এই দামে কেনা যাবে।
এর চেয়ে আরো কমে মিলবে লুমিয়া ৫২০। আইপিএস স্ক্রিন, ক্যামেরা, মানসম্মত প্রসেসর, রেডিও সুবিধা, ইন্টারনাল স্টোরেজ সহ কোন ফিচার এখানে নেই।
আরো বলা হচ্ছে যত সুন্দর করেই ইউএসবি ক্যাবলটি তৈরি হোক না কেন ৭৯ ডলার দাম অযৌক্তিক।
অবশ্য, অতিরিক্তি দাম নির্ধারণের এমন ব্যাপার অ্যাপলের ক্ষেত্রে নতুন না। এর আগে একই ধরনের কাজ করে সনিও ব্যাপক আলোচনায় আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৫