ঢাকা: ঢাকঢোল পিটিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইফোন ৬ প্লাস বাজারে ছেড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। কিন্তু যতটা না উচ্ছ্বাস নিয়ে অ্যাপল ওই হ্যান্ডসেট ছেড়েছিল তার চেয়েও বেশি সমালোচনা হজম করতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
তবে এখন আর কেবল আইফোনের জন্য অ্যাপলকে নয়; সর্বশেষ বাজারে নিয়ে আসা গ্যালাক্সি সিরিজের হ্যান্ডসেট এস৬’র জন্য সমালোচনার শূলে চড়তে হচ্ছে স্যামসাংকেও। গত মার্চেই স্প্যানিশ শহর বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) গ্যালাক্সি এস৬ হ্যান্ডসেটটি উন্মুক্ত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
কত ওজন ধারণ ক্ষমতায় হ্যান্ডসেট বাঁকা হয়ে যায়, সম্প্রতি এমন পরীক্ষা চালায় স্কয়ারট্রেড নামে একটি ইলেকট্রনিক্স ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান।
স্কয়ারট্রেড’র ওই পরীক্ষায় দেখা যায়, যে চাপে আইফোন ৬ প্লাস বাঁকা হয়, সমপরিমাণ চাপেই বাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্যালাক্সি এস৬ও।
পরীক্ষার অংশ হিসেবে গ্যালাক্সি এস৬ হ্যান্ডসেটটির মাঝ বরাবর স্কয়ারট্রেড লোগো সংবলিত একটি যন্ত্রের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তখন পরীক্ষকরা বুঝতে পারেন, আইফোন ৬ প্লাসের সমপরিমাণ চাপেই (১১০ পাউন্ড) গ্যালাক্সি এস৬ও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
পরীক্ষকরা বলেন, ১১০ পাউন্ডের চাপে আইফোন ৬ প্লাস বাঁকা হয়ে গেলেও এটি ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করে থাকে। কিন্তু ১৭৯ পাউন্ড বা তার বেশি ওজনের চাপ পড়লেই হ্যান্ডসেটটির মাঝ বরাবর ভেঙে যায় এবং অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে, তার চেয়ে বেশি দুর্বলতা দেখিয়ে ১৪৯ পাউন্ডের ওজনেই ভেঙে যায় গ্যালাক্সি এস৬।
একই পরীক্ষা চালানো হয় তাইওয়ানভিত্তিক এইচটিসির সর্বশেষ বাজারে আসা এম৯ হ্যান্ডসেটের ওপরও। এতে দেখা যায়, ১২০ পাউন্ড ওজনে হ্যান্ডসেটটি বাঁকা হয়ে যাচ্ছে এবং ভেঙেও যাচ্ছে। আর পাওয়ার বাটন মাঝখানে হওয়ায় হ্যান্ডসেটটি বাঁকা হয়ে গেলে তা ব্যবহার সহজেই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
জেডএস/এইচএ