ব্যস্ততা যত বাড়ছে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে ই-কমার্স। দৈনিন্দন প্রয়োজন মেটাতে মাধ্যমটি এখন আর শখের পর্যায়ে নেই, ধীরেধীরে জীবন যাত্রার সঙ্গে মিশে পড়ছে।
বর্তমানে দেশে প্রায় হাজারো ই-কমার্স সাইট রয়েছে। যাদের মধ্যে মানসম্মত সেবা দিতে অনেকেই তৎপর।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসো ডটকম এর প্রধান নির্বাহী দিদারুল আলম। তার লক্ষ্য এতো সাইটের ভিড়ে নিজের সাইটটিকে ভিন্নমাত্রায় সেরা অবস্থানে নিয়ে যাওয়া।
ই-কমার্সে কিভাবে এলেন, অনুপ্রাণিত হলেন এবং এসো ডট কম নিয়ে ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে দিদারুল আলম জানালেন, পড়াশোনা চলাকালীন অবস্থায় সাধারণত প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখেন পড়াশোনা শেষে কিছু একটা করার। সেও একই স্বপ্ন মনে পোষণ করেন এবং পড়াশোনা শেষে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় নিজের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ই-কমার্স ও ই-মার্কেটিংয়ের দ্রুত উত্থান দেখে ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৩ সালে ‘যা কিছু প্রয়োজন এসো ডটকম’ স্লোগানে এসো ডটকম (esho.com) চালু করে।
গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হয় সেজন্য শুরু থেকেই কোয়ালিটির দিকটিতে গুরুত্ব এবং নিজেদের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
পণ্য ডেলিভারি প্রসঙ্গে দিদারুল বলেন, গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ সেবা দেয়ার জন্য সাইটটি থেকে তারা পছন্দের পণ্য অর্ডারের পর কাস্টমার সার্ভিস থেকে কনফার্ম করে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়। মূলত নিজেদের সুনাম ধরে রাখতেই এ উদ্যোগ।
কিন্তু উচ্চ-গতির ইন্টারনেটের অভাব ই-কমার্সের জন্য বড় সমস্যা। যেহেতু এটি ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবসা তাই দেশব্যাপী গতিশীল ইন্টারনেট সুবিধা থাকলে ই-কমার্সকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন দিদারুল।
তিনি জানান এসো ডট কমে “আমাদের নিজেদের তৈরি পণ্য, গৃহস্থালী পণ্য, স্বাস্থ্য সেবা, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিকস, গিফট আইটেম, প্রসাধনী পণ্য, বিভিন্ন পোশাকের সমাহারে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স সাইট। ঢাকার ভেতরে ২৪ ঘন্টায় ও বাহিরে ৪৮ ঘন্টায় পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয়।
যেসব পণ্য-সামগ্রী স্টকে থাকে মূলত সেগুলো সাইটে প্রদর্শন করা হয়। ৫০০ টাকার উপরে পণ্য কিনলে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি তবে এর নিচে হলে ৪০ টাকা চার্জ দিতে হয়। আর সেটা ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে সমান। গ্রাহকরা পেমেন্ট করতে পারে ক্যাশ অন ডেলিভারি, বিকাশ সহ অনলাইনে।
বর্তমান পরিকল্পনার কথা তিনি জানান, দেশের বাহিরে যারা আছেন তাদের কাছে এসো ডট কমের সেবা পৌছে দেয়া।
আর বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রকুটির শিল্পের পণ্য প্রচার করাই আগামী দিনের লক্ষ্য।
প্রতিষ্ঠানের সফলতা নিয়ে বলেন, গত দুই বছরে ৩৫ হাজার গ্রাহকের আস্থা তৈরি করতে পেরেছি। একজন ক্রেতা বাজারে গিয়ে যে দামে পণ্য কিনবে, সেটা যাতে ঘরে বসে অনায়াসে বাজার দরেই কিনতে পারেন সেই বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে তাই ব্যবসার প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এ মাধ্যমগুলোতে বেশি জোড় দিচ্ছে।
নতুনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেকোনো কিছুর সফলতার জন্য মূল বিষয় হলো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও নীতি এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা। এছাড়া ই-কমার্স সাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করা, যাতে করে কাষ্টমার কিনতে এসে রিরক্ত বোধ না করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এসজেডএম