ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইনের প্রসারে রুগ্ন প্রিন্ট, শুল্ক প্রত্যাহার দাবি নোয়াবের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৫
অনলাইনের প্রসারে রুগ্ন প্রিন্ট, শুল্ক প্রত্যাহার দাবি নোয়াবের ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বর্তমানে সংবাদপত্র শিল্প রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় নোয়াবের সভাপতি দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এ কথা বলেন।



রুগ্ন দশা থেকে বাঁচতে সরকারকে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান তিনি।
 
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। তা ছাড়া পত্রিকা শিল্পের মতো সেবা খাতের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের ওপর কোনো আমদানি কর থাকা উচিত নয়।

নোয়াবের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিউজপ্রিন্ট আমদানি পর্যায়ে উৎসস্থলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে সমন্বয় করা যায় না। সংবাদপত্রশিল্প শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের অগ্রগতিতে মানবকল্যাণধর্মী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। তাই সংবাদপত্র শিল্প মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দাবিদার।

বিজ্ঞাপনের ওপর অগ্রিম আয়কর প্রদান সংবাদপত্র শিল্পের জন্য আরেকটি অতিরিক্ত দায় উল্লেখ করে মতিউর রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞাপন এজেন্সি থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যয়নপত্র পাওয়া যায় না। ফলে বছর শেষে রিটার্নের সঙ্গে সংবাদপত্রকেই ওই কর্তন করা আয়কর পরিশোধ করতে হয়। ফলে সংবাদপত্র শিল্পকে প্রতিবছর বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

এ বিধান অবলোপন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে নোয়াব সভাপতি আরও বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রীও এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্রিকাই ব্রেক-ইভেনে পৌঁছাতে পারে না। সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরত বিপুলসংখ্যক কর্মীর প্রতি লক্ষ্য রেখে এই শিল্পকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে বিশেষ সুবিধা প্রদান সরকারের কর্তব্য। তা ছাড়া আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করলে সরকারের বড় ধরনের কোনো রাজস্ব ক্ষতি হবে না বলেও নোয়াব মনে করে। ’

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, নোয়াবের উপদেষ্টা আক্তার হোসেন খানসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশ সময় ১০২৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
এডিএ/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।