ঢাকা: মূল্য ছাড়ে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি, নোটবুক কেনাবেচার পাশাপাশি নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের সঙ্গে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পরিচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ল্যাপটপ মেলা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার (১৬ মে) রাতে তিন দিনের এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
মেলায় অংশ নিয়ে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতারা বলছেন, তিন দিন হলেও ব্যাপক আগ্রহ ছিল মানুষের। কেনাবেচায় সন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকার বাইরে এমন আয়োজনের পরামর্শ দেন তারা।
‘সবার জন্য ল্যাপটপ’ এই স্লোগান নিয়ে গত ১৪ মে শুরু হওয়া টেকশহর ডটকম ল্যাপটপ মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির আগ পর্যন্তও প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। শেষদিকে বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মেলার সার্বিক সাফল্য সম্পর্কে বিক্রেতারা বলেছেন, আগে মানুষ ল্যাপটপ দেখার জন্য আসলেও; এবার কেবল কেনার জন্যই মেলায় এসেছেন।
স্মার্ট টেকনোলোজিস (বিডি)’র সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার রেজাউল করিম তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, বেশি-বেশি বিক্রি ও নতুন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত করানো ছিল মেলার উদ্দেশ্য। প্রত্যাশার মতোই তা পূরণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রেতাদের সাড়াও ছিল ভালো। মেলার মাধ্যমে আইটি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে মেলার সময় বাড়ানো এবং ঢাকার বাইরেও এ মেলার আয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য তার।
এসার’র পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাজমুস সাইদ বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও ক্রেতাদের সাড়া বেশি ছিল। শেষ দিন ছিল আরও ভালো। সময় ও স্থানের দিক থেকে বড় হলে আরও সাড়া পাওয়া যেতো। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে মেলায় যুক্ত করা যায় কিনা, তা দেখতে হবে- বলেন তিনি।
ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে মেলা করলে ভালো হয় বলে মনে করেন আসুসের এক্সিকিউটিভ সামসুল সালেহীন। তিনি বলেন, মেলার তিন দিনই ছিল বৃষ্টি, তবুও বিক্রি ভালো হয়।
মেলায় ল্যাপটপ কিনে বারিধারার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র টিটো বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের মেলার মাধ্যমে সর্বশেষ প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে পণ্য কেনা যায়। বছরে অন্তত দু’বার মেলার আয়োজন করার পক্ষে মত এ শিক্ষার্থীর।
এক্সপো মেকার আয়োজিত এবারের মেলায় দেশ ও বিদেশের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের সর্বশেষ এবং আধুনিক ব্র্যান্ড ও মডেলের ল্যাপটপ ও আনুষাঙ্গিক প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে হাজির হয়।
শেষ দিনও ছিল মূল্য ছাড়, র্যাফেল ড্র আর স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে পুরস্কার জেতার সুযোগ। শেষ দিন একটি রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যে ছিল ট্যাব-টিভি পাওয়ার সুযোগ।
ল্যাপটপ ছাড়াও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের বেচাকেনাও ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মেলায় অ্যাপল, এসার, আসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভো, তোশিবা, টুইনমস, গিগাবাইট, ডিলাক্স, এক্সট্রিম, লজিটেক, মেইজু, ডিলিংক, অইনল, শাওমি, এইচটিসি, এইচটিএস, মাইসেল, মাইক্রোল্যাব, জেটকাইট, জিওনির মতো ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করা হয় ।
তিনটি প্যাভিলিয়ন, সাতটি মিনি প্যাভেলিয়ন ও ৫০টি স্টলে দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
এক্সপো মেকার আয়োজিত এবারের মেলায় টিকেট বুথের পৃষ্ঠপোষক পান্ডা সিকিউরিটি।
মেলায় প্রবেশ ফি ছিল ৩০ টাকা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ। টিকিট বিক্রির আয় থেকে ২৫ শতাংশ নেপালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া ২৫ শতাংশ দেওয়া হবে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সাংবাদিকদের কল্যাণ তহবিলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
এমআইএইচ/এমএইচপি/আইএ