ঢাকা: ২০১৮ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৫’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাত্র কিছুদিন আগেও বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। কিন্তু সে অবস্থা থেকে শুধু উত্তরণই ঘটেনি গত ছয় বছরে আমরা তথ্য-প্রযুক্তি খাতে রফতানিও শুরু করেছি। ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা এ খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরসহ দেশে মোট ১৩টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে ৭০ হাজার প্রযুক্তিবিদ দরকার। আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এসব প্রযুক্তিবিদ গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ সম্পর্কে পলক বলেন, দেশের ১২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৬৪টি জেলায় তথ্য-প্রযুক্তি ক্লাব গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাবের দায়িত্বে থাকবেন এ খাতে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা। জেলার ক্লাবগুলোতে আমরা দুইজন করে প্রশিক্ষিত মডারেটর নিয়োগ করবো।
১ শিক্ষার্থী- ১ ল্যাপটপ- ১ ড্রিম প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে ১টি করে ল্যাপটপ পৌঁছে দেবো। কারণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের কাঙ্ক্ষিত ডিভাইসটি যদি আমরা তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পারি তবে তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে বাংলাদেশ থেকেই একেক জন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ তৈরি হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম, রবি অজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির, আনোয়ার ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
‘জানুক সবাই, দেখাও তুমি’ স্লোগানে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে দেশে প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে ঢাকা মহানগরীসহ মোট আটটি অঞ্চলের বিজয়ীরা অংশ নেন।
এ পর্বে মোট ৯৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে আইসিটি কুইজে ৮০৩ জন এবং প্রোগ্রামিংয়ে ১৯০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করে।
কুইজ প্রতিযোগিতায় তিন ক্যাটাগরিতে ২০ জন করে মোট ৬০ জন এবং প্রোগ্রামিংয়ে দুই ক্যাটাগরিতে ২০ জন করে মোট ৪০ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সকালের পর্ব উদ্বোধন করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। পুরো আয়োজনে সহযোগিতা করে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
এসএ/আইএ