সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ’জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস প্রশিক্ষক ও সৃজনশীল অ্যাপস উন্নয়ন’ কর্মসূচির বিভাগীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ড: ফায়েকউজ্জামান।
ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খান বলেন, ২০১৩ সালে মোবাইল অ্যাপস গ্লোবাল জিডিপি’তে ২৯.৫ বিলিয়ন ডলার অবদার রেখেছে যা বিশ্বের সমগ্র মোবাইল অ্যাপসের ইকো সিষ্টেমের ৩.৪%। আশা করা যাচ্ছে ২০২০ সালে এ খাতে অর্জিত রেভিনিউ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে ৪.৩ টি বাচ্চা জন্মগ্রহন করে আর প্রতি সেকেন্ডে ১৭টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন একটিভেটেড হয়। যেটাই বলে দেয় অ্যানড্রয়েড ফোন কি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কাজেই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে প্রযুক্তিকে আয়ত্তে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্মসূচির পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জি. ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
বক্তব্যে তিনি বলেন ‘মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারের তথ্য ও সেবা সমূহ জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষকরে এই কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আরও মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান ড. রামেশ্বর দেবনাথ, খুলনা নর্থওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন আব্দুললাহেল বাকীসহ অধ্যাপকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সরকার তার তথ্য ও সেবা সমূহ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে দেশের ১৭টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ৭টি বিভাগে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণার্থী ও বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া গ্রহণের জন্য দেশের ৭টি বিভাগে ৭টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৫
এসজেডএম