ঢাকা: তথ্যের নিরাপত্তা এবং তথ্য ও প্রযুক্তিসেবা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি বিভিন্ন দফতরে আইটি বিভাগে কর্মরত ২৫০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার।
এরই অংশ হিসাবে এ পর্যন্ত ৮৫জন আইটি কর্মকর্তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং নয়াদিল্লির ইএসআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সরকার ইতোমধ্যে সেবা ডিজিটালাইজেশন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হয়েছে। এসব অনলাইন কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
‘এছাড়া তিন স্তরের একটি ডাটা সেন্টার জনগণকে সেবা দিচ্ছে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি তথ্য ও ডাটা সংরক্ষিত থাকে। সেবা কার্যক্রম বাড়াতে আগামীতে চার স্তরের আরেকটি ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
তথ্য ও ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রয়োজন উল্লেখ করে পলক বলেন, এসব ডাটা ও তথ্যের নিরাপত্তা বিধানে আমাদের নিজেদের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞ দরকার। এজন্যই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে এলআইসিটি প্রকল্পে ২৫০০ জনকে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলা হবে।
‘আমরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আলাদা সাইবার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৫
পিআর/এমএ