সরকার তার তথ্য ও সেবাসমূহ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক ’জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস প্রশিক্ষন ও সৃজনশীল অ্যাপস উন্নয়ন’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচির প্রশিক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে দেশের ১৭টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।
এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সেমিনার। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
বক্তব্যে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার বিভিন্নভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মোবাইল অ্যাপস উন্নয়ন বিষয়ক এ উদ্যোগ একটি মাইলফলক হিসেবে ভুমিকা রাখবে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সুফল সম্পর্কেও আলোকপাত করেন।
কর্মসূচি বাস্থবায়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠান ইএটিএল এর ব্যবস্থপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, দেশের ১২ কোটির উপর মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মানুষ এখন সব ধরনের সেবা মোবাইল এর মাধ্যমে পেতে চায়। মোবাইল অ্যাপস আগামী দিনের সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানুষ সব ধরনের সেবা নিতে পারবে।
গার্টনারের উদ্বৃতি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী পাঁচ বছরে ২৬৮ মিলিয়ন মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড হবে যার মাধ্যমে ৭৭ মিলিয়ন ডলার রেভিনিউ হবে। কাজেই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এ প্রযুক্তিকে আয়ত্তে আনতে হবে।
এ সময় কর্মসূচি পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জি. ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন,‘ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারের তথ্য ও সেবা সমূহ জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষকরে এ কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আরও মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য্য অধ্যাপক ড: মোহাম্মদ রফিকুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ মশিউল হক ও ইএটিএল এর সিটিএ ড: রাজেশ পালিতসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এসজেডএম