ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘অনলাইন টেলিভিশন’ এই সময়ের নতুন বাস্তবতা!

তাবারুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৫
‘অনলাইন টেলিভিশন’ এই সময়ের নতুন বাস্তবতা!

ঢাকা: তথ্য প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইন ভিত্তিক টেলিভিশনের কদর। প্রচলিত টেলিভিশন মাধ্যমে আর ঘরে বসে নয়, আসছে মানুষের হাতের কাছের ল্যাপটপ ও মুঠোফোনের মাধ্যমে সংবাদ-বিনোদন, টকশো ও ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান উপভোগের সুযোগ।

হাতে হাতে শোভা পাবে এক চলন্ত টেলিভিশন।

অনলাইন টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অদূর ভবিষতে প্রচলিত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে ছাড়িয়ে একদিন ইন্টারনেটভিত্তিক টিভি সেই জায়গায় বসছে কি-না তা এখন দেখার বিষয়!

এ বিষয়ে দেশের খ্যাতনামা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘টিভি দেখার জন্য কোথায় স্যাটেলাইট আছে, কোথায় তরঙ্গ পেলাম বা পেলাম না সেইসব ভাবনার চাইতে বড় ভাবনা হলো ইন্টারনেট সংযোগ আছে কিনা। ’

এরই মধ্যে বেশকিছু অনলাইন চ্যানেল তাদের নানা কার্যক্রমও শুরু করেছে। এসব অনলাইন টেলিভিশন সংবাদ- বিনোদন, টকশো, নাটক, বিজ্ঞানভিত্তিক অনুষ্ঠান, সমসাময়িক ঘটনার অনুষ্ঠান, গান ও আড্ডাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম সরাসরি সম্প্রচার করে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত দেশে ১০টির মতো অনলাইন টিভি তাদের সম্প্রচারের উদ্বোধন করেছে। যে কেউ তার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে এসব অনলাইন টিভি চ্যানেল থেকে সংবাদ, বিনোদনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে-শুনতে ও উপভোগ করতে পারবেন।

এসব চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে নতুন সময় ডট টিভি, কেটিভি, বন্ধু টিভি, ভয়েস ম্যারিনা, হিউজটিভি, থার্ডবেলডটকম, বিদেশ টিভি, ইউএনএন টিভি, পপকর্নটিভি, সিলটিভি ডটকম ইত্যাদি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা জব্বার বাংলানিউজকে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান টিভি ব্যবস্থার আমুল রূপান্তরটা আসলে দেশে ইন্টারনেটের প্রসারের ওপর নির্ভরশীল। টিভি-পত্রিকা-রেডিও-সিনেমা সব মিডিয়ারই একটি গন্তব্য এখন ইন্টারনেট। ’

বর্তমানে দেশের অধিকাংশ স্যাটেলাইট টেলিভিশন দর্শক টানতে তাদের অনলাইন টিভি ভার্সন চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলমান স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো অনুমান করতে পেরেছে যে, ভবিষৎ হবে অনলাইন টেলিভিশনের যুগ।

সেই সময় মানুষের কাছে ইন্টারনেট আরো সহজলভ্য হবে, ব্যস্ত দর্শক-শ্রোতা বাসায় টিভি সেটের সামনে বসে আর সময়-ব্যয় করবে না। অনলাইন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দিনের সর্বশেষ খবর কর্মস্থল থেকেই বা যে যেখানে থাকবেন সেখান থেকেই দেখে ও জেনে নেবেন। সারদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে এখনকার মতো স্যাটেলাইট টিভি সেট খুলে বসার প্রয়োজন পড়বে না।

কিন্তু এসব অনলাইন টেলিভিশনের কোনো নীতিমালা এখনো তৈরি হয়নি। প্রচলিত চ্যানেলের মতো বর্তমানে এর নিবন্ধনেরও প্রয়োজনীয়তা নেই। একারণে ব্রডকাস্টিং সার্ভার ব্যবহার করে যে কেউ এ ধরনের অনলাইন টিভি চ্যানেল চালু করতে পারেন।

ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিভিশন ‘নতুন সময় ডট টিভি’র সিএনই জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘যদিও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভির নীতিমালা এখনও প্রণয়ন করা হয়নি, তবু কাগজে ছাপা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মতো প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করে সংবাদসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান আমাদের অনলাইন টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে। ’

সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছে এর একটি যুগোপযোগী নীতিমালাও কামনা করেন তিনি।

নতুন সময় ডট টিভি প্রতিদিন তিনবার সরাসরি সংবাদ সম্প্রচার করছে। সম্প্রচার করা হচ্ছে গানের অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে টকশোসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান।

জাকির বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের গতি বাড়ছে, এর ব্যবহারমূল্যও কমছে। আর বেশি দিন দূরে নয়, এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সংবাদ দেখবে ও পড়বে। ’

অনলাইন টিভির ভবিষৎ ভাল বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৫
সম্পাদনা: জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।