ঢাকা: বাংলাদেশ অথবা দেশের বাইরে থেকে কোনো সাইবার অপরাধ ঘটিয়ে দেশ, জাতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সার্বভৌমত্বকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, এ লক্ষ্যে সাইবার আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক।
রোববার (০৫ জুলাই) দুপুরে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের মিলনায়তনে সাইবার আইন নিয়ে একটি খসড়া প্রতিবেদন আলোচনার সময় তিনি এ কথা জানান।
সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আইনের মূল খসড়া তৈরি করে সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অফ ও অনলাইন অপরাধের মাত্রা এবং এর প্রভাব দিনদিন বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে অস্ত্রযুদ্ধের চেয়ে এখন সাইবার যুদ্ধ বেশি হচ্ছে। কোনো দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে আর বোমা ফেলার প্রয়োজন নেই, সাইবার অ্যাটাকেই অনেক দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিরাপত্তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এজন্য সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা একটি আইন করতে যাচ্ছি।
পলক বলেন, যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অপরাধ সংগঠিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গেলে আইন দরকার। এ কারণেই সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এ আইনের মধ্যে অপরাধগুলোর তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ, আদালতে পাঠানোর জন্য ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ও সাইবার অপরাধ মোকাবেলা করতে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন করা হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা আইনে আধুনিকতার ছোঁয়া, ভয়েস টর্চারিং, তথ্য প্রযুক্তির সক্ষমতা, বাস্তবতার ভিত্তি, সঠিক পরিচয় উল্লেখসহ বিভিন্ন বিষয় যোগ করার জন্য প্রস্তাব দেন।
প্রাথমিকভাবে তৈরি করা সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০১৫ নামে ৩৬ ধারার একটি খসড়া আইন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেগম হোসনে আরা, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটি জি এ ফকরুদ্দিনসহ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫
একে/এসএস