ঢাকা: বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল তার বহুল কাঙ্ক্ষিত স্মার্টওয়াচ ‘আইওয়াচ’ উন্মুক্ত করে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপ্রেমীদের সামনে স্মার্টওয়াচটি তুলে ধরতে বেছে নেয় আইফোন ৬ ও ৬ প্লাস উন্মুক্তের ইভেন্টকে।
অ্যাপলের স্মার্টওয়াচে বেশ নতুনত্ব থাকবে, যা সহজে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করবে, সে সময় এমন অনেক গুঞ্জন শোনা গেলেও বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। আর সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে মিললো এর সত্যতা।
গত এপ্রিলে সর্বপ্রথম ‘আইওয়াচ’ বাজারে ছাড়ে অ্যাপল। প্রথমদিকে স্মার্টওয়াচটি ঘিরে ক্রেতাদের বেশ উৎসাহ দেখা যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা এর প্রতি আর্কষণ হারাতে থাকেন।
ফলে এপ্রিলের পর জুলাইয়ে এসে স্মার্টওয়াচটির বিক্রি ৯০ শতাংশ কমেছে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়।
বাজারে আসার পর প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই স্মার্টওয়াচটি দিনে গড়ে দুই লাখ ইউনিট বিক্রি হয়েছিল। এখন তা ২০ হাজার ইউনিটে নেমে এসেছে।
এখানেই শেষ নয়, জুনের শেষ দিকে নাকি দিনে গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্মার্টওয়াচটির বিক্রি কমে ৪-৫ হাজার ইউনিটে নেমেছিল।
সূত্র বলছে, বিক্রি হওয়া ‘আইওয়াচ’র বেশিরভাগই সস্তা মূল্যের ‘স্পোর্টস’ ভার্সনের। যার মূল্য সাড়ে তিনশ’ ডলার (এক ডলার ৭৮ টাকা)।
আর সবচেয়ে দামী ‘গোল্ড ভার্সন’র (১০ হাজার ডলার) ‘আইওয়াচ’ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হয়েছে মাত্র দুই হাজার ইউনিট। মার্কেটওয়াচ’র ডাটার সূত্র ধরে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
তবে এপ্রিলে বাজারে ছাড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্মার্টওয়াচটির কতো ইউনিট বিক্রি হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি অ্যাপল। স্মার্টওয়াচটির ক্রেতা আর্কষণে ব্যর্থতার কোনো কারণ জানা যায়নি।
এর আগে এক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পূর্বাভাস দেন, ২০১৬ সাল নাগাদ বিশ্ববাজারে দুই কোটি ৪০ লাখ আইওয়াচ বিক্রি হবে। তবে এখন তা কমিয়ে দুই কোটি ১০ লাখের কথা বলছেন তিনি।
আগামী অক্টোবরে অ্যাপল তার আইফোনের পরবর্তী ভার্সন বাজারে ছাড়বে বলে আশা করছেন প্রযুক্তিবিদরা। তবে এতে তেমন কোনো পরিবর্তন থাকবে না বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
জেডএস