ঢাকা: ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করতে বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, এখনই এ প্রযুক্তি দেশব্যাপী চালু করে দেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) বিকেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভা ও সমঝোতা স্বারক অনুষ্ঠানে তিনি আহ্বান জানান।
মুস্তফা কামাল বলেন, ফোর জি কেন ওপেন হচ্ছে না, তথ্য প্রযুক্তির স্বার্থে এটাকে ওপেন করে দেওয়া দরকার। দ্রুত এ সেবা শুরু করতে হবে।
‘আজ আইসিটি মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করলাম, পর্যায়ক্রমে অন্য মন্ত্রণালয়েও যাবো। সবার চাহিদার কথা শুনবো, বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা বের করবো’।
তিনি আরও বলেন, নতুন যে সব প্রকল্প এসেছে বছরের প্রথম দুই মাসের মধ্যেই যেন প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া যায়। এতে করে এর বাস্তবায়ন যথা সময়ে হবে।
তিনি বলেন, জরুরি প্রকল্প বছরের শেষে অনুমোদন দিলে অনেক সময় প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নষ্ট হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রকল্প বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই বছরের প্রথম দিকেই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া জরুরি। এতে সময়ের অপচয় রোধ হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতায় কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আইসিটি বিভাগে আমার আজকের এ মতবিনিময় সভার মূল উদ্দেশ্যও তাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে অংশ নিচ্ছি কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একই কাজ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর করছে। এতে করে সময় এবং অর্থের অপচয় বাড়ছে। আমরা একটু সজাগ হলেই যা রোধ করা সম্ভব। এজন্য সমন্বয় সাধন জরুরি।
মন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পরিকল্পনা মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, এ সমস্যা সমাধানে তারা ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেক্ট বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়েছেন। খুব দ্রুতই ডিজিটাল বাংলাদেশের সমস্ত কাজের সমন্বয় সাধন করা হবে।
পলক বলেন, সরকারের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আমরা খুবই সজাগ দৃষ্টি রাখছি এবং দেশের ১৬ কোটি মানুষের ট্যাক্সের একটি টাকাও যাতে অপচয় না হয়, সেজন্য আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
‘অর্থের অপচয় রোধ করতে পারলে, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে এবং এতে করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা দ্রুততর ও সহজতর হবে’- যোগ করেন পলক।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক কমিউনিকেশন সফটওয়্যার
ডেভেলপার ইয়াকসি’র সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম এবং ইয়াকসির চেয়ারম্যান ও সিইও শাহ তালুকদার।
মতবিনিময় সভা ও সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগের সদস্য হুমাযুন খালিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫, আপডেট ১৮৪৯
এমআইএস/আইএ