ঢাকা: স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস-এ বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড।
বনানীতে তাজওয়ার সেন্টারের এয়ারটেলের হেড অফিসে বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) এয়ারটেলের চিফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা একটি স্পন্সরশিপ চেক স্পেশাল অলিম্পিক্স বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান ডা. শামীম মাতিন চৌধুরীর হাতে হস্তান্তর করেন।
স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফারুকুল ইসলাম এবং স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের ট্রেজারার ও ‘বিউটিফুল মাইন্ড’র ভাইস প্রিন্সিপাল মমতাজ সুলতানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এয়ারটেলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস’র প্রতিভাবান অংশগ্রহণকারীরা বদ্ধমূল ধারণাগত বাঁধাগুলো অতিক্রম করে বিজয়ী হতে চান। অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বের বৈষম্যগুলো দূর করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণে প্রস্তুত।
লস্ এঞ্জেলেসে আগামী ২৫ জুলাই শুরু হয়ে প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে ২ আগস্ট।
এয়ারটেল জানায়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৮০ জন প্রতিযোগী বিকেএসপিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এয়ারটেল এই ৮০ জনের অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণ বাবদ খরচের একটি অংশ বহন করবে। এয়ারটেল মানুষের ক্ষমতায়ন দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে এই স্পেশাল অলিম্পিয়ানদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে।
বাংলাদেশে স্পেশাল অলিম্পিকসের শুরু হয় ১৯৯৪ সালে, কিন্তু বাংলাদেশি প্রতিযোগীরা স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস্ এ অংশগ্রহণ শুরু করেন ১৯৯৫ সালে। এরপর থেকে বাংলাদেশ প্রতিটি ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে অংশগ্রহণ করেছে। এই সকল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অলিম্পিয়ানরা প্রচুর পদক জিতে নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১০০ এর বেশি স্বর্ণপদক।
রুবাবা দৌলা বলেন, এই ৮০ জন ব্যক্তি সামাজিক বাধার বিপরীতে যাবার যে সাহস দেখিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। আমরা এই সাহসী ব্যক্তিদের সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ