ঢাকা: তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতিতে সবার অংশগ্রহণ খুবই জরুরি। সবাই মিলে কাজ করলেই তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পাশাপাশি এ খাতে কর্মসংস্থান ও নতুন নতুন উদ্ভাবন সম্ভব।
ইন্টারনেট ব্যবহার ও তথ্য-প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে শুধু আইসিটি বিভাগ একা সবকিছু সম্পাদন করতে পারবে না।
বুধবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ‘ই-লার্নিং ফর এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’ বিষয়ে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এর সঠিক ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দ্রুত সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার সবার মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তি সারা বিশ্বে শিক্ষাদানের সনাতন পদ্ধতিতে অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে। এর ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। তবে তা খুবই বিচ্ছিন্নভাবে চলছে। এই সেমিনারের মাধ্যমে পরিবর্তনের রুপকারদের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিতে চাই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন, কোর নলেজের প্রধান নির্বাহী মুবাশ্বের মুনাফ মইন।
আয়োজকরা জানান, দিনব্যাপী এ সেমিনারে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি, প্রগতি সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী ড. শাহাদত খান, মুক্ত সফটের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ জাহিদ হোসেন পনির তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে সেমিনারে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
একে/জেডএস