ঢাকা: ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের এর সুবিধায় আনার লক্ষ্যেই ড্রোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক। গত মার্চে স্যান ফ্রান্সিসকোতে এফ৮ সম্মেলনে (ফেসবুক ডেভেলপার কনফারেন্স) উড়োজাহাজ আকৃতির সৌরবিদ্যুতচালিত ‘আকুইলা’র (ড্রোনের নাম) পরীক্ষামূলক প্রদর্শনও করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ড্রোন তৈরির উদ্দেশ্য ও এর বিস্তারিত জানিয়েছে ফেসবুক। ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ একটি ‘আকুইলা’ তৈরি করেছে তারা।
আকুইলা হলো গ্রিক প্রধান দেবতা জিউস’র (রোমান জুপিটার) ঈগল, যেটি দেবতার বজ্রদণ্ড বহন করতো। ‘ভি’ আকৃতির কার্বন ফাইবার প্রলেপের আকুইলার ওজন চারশ’ থেকে সাড়ে চারশ’ কেজি। যা টয়োটার ‘প্রাইয়াস’ মডেলের কাছাকাছি।
বোয়িং ৭৩৭’র পাখার মতো উইংয়ের মাধ্যমে ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার ফিট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম আকুইলা। সৌরবিদ্যুতচালিত এ ড্রোন একবার উড়লে তিন মাস পর্যন্ত উড়তে সক্ষম।
এ বিষয়ে ফেসবুকের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার জয় পারিখ বলেন, ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে থাকা বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষের জন্য ‘আকুইলা’ একটি পর্যায় মাত্র।
তিনি জানান, তিনটি বিষয় মাথায় রেখে আকুইলা তৈরি করা হয়েছে। সৌরশক্তি, উচ্চতা ও সময়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি চেয়েছে, ড্রোনটি নিজস্ব ক্ষমতায় বাণিজ্যিক আকাশে কায়েক মাস ধরে উড়বে।
আর ক্ষমতা শেষ হওয়ার সময় হলে এটি আপনাআপনি নিরাপদে মাটিতে নামবে। এর মধ্যে একটি হিলিয়াম বেলুন সংযুক্ত করা হবে, যা ৭০ হাজার ফিট উপরে ড্রোনটিকে তুলে দেওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
আকুইলা দিনের বেলা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার ফিট উপরে উড়তে সক্ষম হলেও শক্তি সাশ্রয়ে রাতে এটি ৬০ হাজার ফিটে নেমে আসবে।
স্বল্পোন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর গ্রামীণ এলাকার মানুষের মধ্যে সহজে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে গত মে মাসে ইন্টারনেট.ওআরজি উন্মুক্ত করেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। বাংলাদেশসহ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার নয়টি দেশে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে ইন্টারনেট.ওআরজি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
জেডএস