নতুন প্রজন্মকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে এই প্রথম চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট সেবার প্রচলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার “ওলো ওয়ারলেস ইন্টারনেট”।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবার প্রচলন থাকলেও, বাংলাদেশ এদিক থেকে পিছিয়ে ছিল এতোদিন।
জানা গেছে, ওলো ৪জি এলটিই-এর পরিক্ষামূলক কাজ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, বসুন্ধারা ও গুলশান এলাকায়। গ্রাহকগণ ফোরজি’তে সর্বোচ্চ ১৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড পাবেন। ফলে খুব দ্রুত যেকোনো এইচডি মুভি ডাউনলোড, মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন গেমস, হাই কোয়ালিটির ভিডিও কল ও ভয়েস কল করার সুবিধা পাওয়া যাবে।
এজন্য ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন হবে এলটিই সাপোর্টেড স্মার্টফোন, ওয়াই ফাই রাউটার, পকেট রাউটার, মডেম, ট্যাব সহ এ ধরনের প্রযুক্তিপণ্য।
‘ওলো ওয়ারলেস ইন্টারনেট’-এর চীফ টেকনিক্যাল অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষে ধীরে ধীরে ৪জি এলটিই নেটওয়ার্ক দেশের সর্বত্র পৌছে দেওয়া হবে। সম্প্রতি ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় পরিক্ষামূলক কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট একচেঞ্জ লিমিটেড (বিআইইএল) বা ওলো’র এলটিই গ্রাহকদের জন্য থাকছে সিম কার্ড (কম্বো) এবং আকর্ষনীয় ডেটা প্ল্যান।
প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমার্সিয়াল নিয়াজ মাহমুদুল ইসলাম বলেন, অল্প খরচে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য বর্তমান বাজারের চাইতে কম খরচে শুরুতে একটি সিম কার্ডের সাথে আনলিমিটেড অফার ও ২০ জিবি’র আকর্ষনীয় অফার থাকবে। তিনি আরো জানান, খুব শীঘ্রই মোহাম্মাদপুর টাউনহল এলাকায় চালু করা হচ্ছে নতুন একটি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা এলটিই’র এফডিডি সুবিধা বাংলাদেশে প্রথম হলেও পেরু, মোজাম্বিক, আফগানিস্তান, মায়ানমারে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘ওলো’ আগে থেকেই চালু করেছে। পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমারেও এই সুবিধা প্রচলিত রয়েছে আরো আগে থেকেই।
প্রতিষ্ঠানের আশা বাংলাদেশও বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে ওলো’র সাথে বহুদূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
এসজেডএম