ঢাকা: ঢাকার সাভারে স্কুল পর্যায়ে পানি পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সাভারে ভিলেজ এডুকেশন ও রিসোর্স সেন্টারের (ভার্ক) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ অ্যাপসের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটিকে (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ওয়াশ (নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন) ব্যবস্থার ওপর কীভাবে মনিটরিং করা হয় তা তুলে ধরে জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সাভার উপজেলা কমিটি ও স্কুল কমিটি। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এনসিটিএফ’র শিশু সাংবাদিকরা স্কুলের ‘ওয়াশ’ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্কুল পর্যায়ে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থসচেতনতা এবং এ সম্পর্কিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকরা কীভাবে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করবেন? সংবাদের গুণগত মান উন্নয়নে তাদের ভূমিকা কী হবে?- এসব বিষয়ে একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনে স্থানীয়, জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক, শিশু অধিকার কর্মী এবং এনসিটিএফ’র করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অ্যাপস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ সাভার উপজেলা সভাপতি জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল, সাভার প্রেসক্লাব সভাপতি জাভেদ মোস্তফা, স্থানীয় শিশু অধিকার কর্মী রোকেয়া হক, সেভ দ্য চিলড্রেনের আফরোজা শারমিন, মাসুদুর রহমান, এমএমসির প্রকল্প সমন্বয়কারী মৃন্ময় মহাজন, এমপাওয়ার সোশ্যাল সার্ভিসের বিধান চন্দ্র পাল, ভার্কের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী হেমন্ত কুমার মল্লিক এবং জাতীয় ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ‘র সাভার উপজেলা সভাপতি জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল সারাদেশে এবং সাভারে ৩০টি স্কুলে সংস্থাটির কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
সাভারের শিশু অধিকারকর্মী রোকেয়া হক বলেন, স্কুলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই অ্যাপস কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে এই অ্যাপসের ব্যবহার হবে বলে আশা করছি।
সাভার প্রেসক্লাব সভাপতি জাভেদ ইকবাল বলেন, সাভারের সাংবাদিকরা এনসিটিএফের শিশু সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
মোবাইল অ্যাপসের বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এনসিটিএফ শিশু সাংবাদিক সানজিদা খাতুন বলেন, শিশু সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ পেয়ে এখন আমরা আমাদের স্কুলের পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখতে পারি। তবে, স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমাদের লেখাগুলো প্রকাশের ব্যাপারে সহযোগিতা চাই। আর আমরা ভাগ্যবান যে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৫
এইচএ/