ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেট উইক

৪০ কোটি বাঙালিকে সম্পৃক্ত করার আশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
৪০ কোটি বাঙালিকে সম্পৃক্ত করার আশা ছবি: নাজমুল হাসান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ইন্টারনেট উইক’। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষ এবং বিশ্বের বাঙালিকে এ আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।



আগামী ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটে তিনটি বড় এক্সপোসহ দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

‘ইন্টারনেট উইক’ আয়োজন উপলক্ষে সোমবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগামীতে মানুষের ষষ্ঠ মৌলিক অধিকার হবে ইন্টারনেট ব্যবহার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি প্রয়োজন। আমরা সরকারের তরফ থেকে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে কানেকটিভিটির আওতায় আনতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি এবং শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষসহ ১৬ কোটি মানুষকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট উইকে সম্পৃক্ত করতে চাই। আর গণমাধ্যমসহ সবার প্রচেষ্টায় ৪০ কোটি বাঙালির কাছে এ উইক পৌঁছে দিতে চাই।

ইন্টারনেট উইকের আয়োজন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে একসঙ্গে প্রায় ৪৮৭ জায়গায় এ ধরনের আয়োজনের নজির এখনও নেই। সরকারি-বেসরকারি যৌথ এ আয়োজন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), গ্রামীণফোন এবং আইসিটি বিভাগ যৌথভাবে এ আয়োজন করবে।

প্রতি বছর এক কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বৃহত্তর পরিসরে এ আয়োজন হতে যাচ্ছে।

বিশ্বে এতো বড় আয়োজন এটাই প্রথম দাবি করে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ইন্টারনেট উইকের মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। এ আয়োজন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রসার বাড়বে।

গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রামীণফোন অঙ্গীকারাবদ্ধ।

৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী মাঠ, ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজার ও ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃহৎ পরিসরে ইন্টারনেট উইক আয়োজন করা হবে।

ইন্টারনেটের প্রচার, প্রসার ও ইন্টারনেটের সুফলগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ৪৮৭টি উপজেলায় একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

বেসিসের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ইন্টারনেট উইকের আহবায়ক রাসেল টি আহমেদ জানান, ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিভাইস কোম্পানিসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এতে প্রদর্শনী ও ব্যবহারের সুযোগ থাকবে।

ইন্টারনেট উৎসবের অংশ হিসেবে প্রায় অর্ধশত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং গণমাধ্যমগুলোতে ৭টি পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

আইসিটি বিভাগ, গ্রামীণফোন এবং বেসিস কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।